ধর্ষকের বিচারের নামে আন্দোলনে নেমে ভিন্ন ভাষায় কথা বলে জনসচেতনতা তৈরির পরিবর্তে সরকার পতনের কথা বলে প্রকারন্তে বিএনপিই ধর্ষকদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার (০৯ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর সংসদ ভবন এলাকায় সরকারি বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
কাদের বলেন, ‘ধর্ষণের বিচার চাইতে গিয়ে সরকার পতন আন্দোলনের কথিত ঘোষণা দিয়ে বিএনপি ধর্ষক এবং অপরাধীদের বাঁচানোর অপপ্রয়াস চালাচ্ছে কি না-সেটিই আজ জনমনে প্রশ্ন।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি নেতারা বরাবরের মতো অভিযোগ করেছেন, সরকার নাকি অপরাধীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে। সরকার অপরাধী ও অনিয়মকারীদের আতঙ্কে পরিণত হয়েছে। এরইমধ্যে কোনো অপরাধ সংগঠিত হওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে এবং অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনে। বিএনপি যখন মাঠে নামে প্রতিবাদ করে তার আগেই সরকার অপরাধীদের গ্রেপ্তার অভিযান শুরু করে। অপরাধীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়।’
‘আমরা বারবার বলেছি, দলীয় পরিচয়ে অপরাধীদের শাস্তি থেকে রেহাই দিতে পারবে না। সরকার অপরাধীদের আশ্রয়-প্রশ্রয়তো নয়ই, বরং শাস্তির বিধান আরও কঠোর করতে আইন সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে। সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রেখে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আগামী মন্ত্রিসভায় আইন সংশোধনের প্রস্তাব আসছে।’
কারো হাতেই সরকার ইস্যু তুলে দেবে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘জনঘনিষ্ঠ ইস্যুতে শেখ হাসিনার সরকার দ্রুত রেসপন্স করে। এ পর্যন্ত শেখ হাসিনার সরকারের আমলে একটি অপরাধ তুলে ধরুন, যে সরকার অপরাধীকে আশ্রয়-প্রশয় দিয়েছে, এমনকি দলীয় পরিচয়ে কেউ অপরাধ অপকর্ম করলে সরকার কাউকে কিন্তু আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়নি।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি কথায় কথায় বলে, ধর্ষণকারী ও অপরাধীদের সবাই নাকি সরকারি দলের। আজ কাগজে দেখলাম গাজীপুরের কাপাসিয়ায় ধর্ষণের ভিডিও ছড়ানোর ন্যাক্কারজনক অভিযোগ উঠেছে বিএনপি ছাত্র সংগঠনের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এবং এক সদস্যের বিরুদ্ধে। মির্জা ফখরুল সাহেব এখন কি বলবেন?’
বিএনপি সরকারের শাসনামলের কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেব আপনারা যখন ক্ষমতায় ছিলেন, ২০০১-২০০৬ সাল সেই বিভীষিকাময় দিনগুলোর কথা কি আপনাদের মনে পড়ে?
‘এসব অপরাধীদের বাঁচানোর জন্য কি তাদের সরকারবিরোধী আন্দোলন? কাপাসিয়ার ধর্ষণকারীদের গ্রেপ্তার করলে তখন তিনি বলবেন সরকার নির্বিচারে তাদের দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করছে?’
‘সরকারকে আর সময় দেওয়া যাবে না’ বলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সময় দেওয়ার আপনারা কে? জনগণ সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়েছে। আগামী নির্বাচন পর্যন্ত সরকার দায়িত্ব পালন করবে। সরকার টিকে আছে জনগণের ইচ্ছায় কারো দয়ায় নয়।’
ষড়যন্ত্র, খুন আর সন্ত্রাস বিএনপির রাজনীতি মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তাদের ক্ষমতার উৎস জনগণ নয়, অন্ধকারের চোরাগলি।’