রাজনীতি

বিএনপির অপকৌশলে ভোটার উপস্থিতি কম: কাদের

সম্প্রতি উপ-নির্বাচনগুলোতে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার জন্য বিএনপির অপকৌশল কাজ করেছে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

বুধবার (২১ অক্টোবর) রাজধানীর সংসদ ভবন এলাকায় নিজের সরকারি বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের দিন ভোটাররা কেন্দ্রে না আসে সেজন্য তারা ভোট শুরু কিছুক্ষণের মধ্যে ভোট বর্জনের নাটক করে, সরে দাঁড়ায়। ’

ভরাডুবি বুঝতে পেরে আর নির্বাচন ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই বিএনপি ভোট বর্জনের এই অপকৌশল নেয় মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করা অপকৌশল জনগণ ধরে ফেলেছে। এজন্য এজেন্ট দেওয়ার লোকও এখন তারা খুঁজে পায় না। উল্টো দোষ চাপায় এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে।

নেতৃত্বের আত্মকেন্দ্রীকতা, অদূরদর্শিতা এবং দোদুল্যমান বিএনপি নেতৃত্বের ওপর কর্মীরা আস্থা হারিয়ে ফেলেছে বলেও মনে করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

‘আস্থাহীণতার প্রমাণ তাদের দেওয়া তালিকাভুক্ত এজেন্টরা নির্বাচনের দিন কেন্দ্রে আসে না। মোবাইল পর্যন্ত বন্ধ করে রাখে।  এসব জেনেও তারা মিথ্যাচার করে সরকারের বিরুদ্ধে, নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে এবং নির্বাচনী ব্যবস্থার বিরুদ্ধে”, বলেন তিনি।

উপ-নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, যেহেতু সরকার পরিবর্তনের বিষয় নেই, তাই জাতীয় নির্বাচনের মতো ভোটার উপস্থিতি ঘটে না। অনেকে করোনার কারণেও আসে না। এছাড়া নির্বাচনে অংশ নিয়ে ভোটের আগের দিন পর্যন্ত সক্রিয় থেকে দু-একটি ঘটনা ঘটিয়ে ভোটের দিন নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে বিএনপি উদ্দেশ্যমূলক নিস্ক্রিয়তা দেখায়। এমন পরিস্থিতি তৈরি করে যে, তাদের ভোটারও আসে না। 

ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার জন্য বিএনপির অপকৌশলও কাজ করে মন্তব্য করে তিনি বলেন, তবুও নওগাঁ এবং পাবনায় উল্লেখযোগ্য ভোটার উপস্থিতি ছিল। তারা ঢাকা-৫ এর কথা বার বার বলে, কিন্তু গতকাল সারা দেশে বিভিন্ন স্থানীয় সরকার পরিষদ নির্বাচনে ব্যাপক ভোটার উপস্থিতির কথা বলে না।

স্থানীয় নির্বাচন নিয়ে বিএনপির অভিযোগ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতারা নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে কথা বলছেন। আমি বিএনপিকে তাদের সময় স্থানীয় সরকার নির্বাচনের কথা মনে করিয়ে দিতে চাই। যে সময়ে নির্বাচন মানেই ছিল সংঘাত আর প্রাণহানি। স্থানীয় নির্বাচনগুলোতে ঘটেছে অসংখ্য জীবনহানির ঘটনা। এখন নেই নির্বাচনী সংঘাত।