শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের পাঁচজনকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তারা হলেন—রাজধানীর লালবাগ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা খালেদ রাজু, হৃদয় আহমেদ, জসিম, ফারুক ও রিপন।
রোববার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ঢাকেশ্বরী মন্দিরে বিনামূল্যে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ অন্যান্য সামগ্রী বিতরণের সময় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক তারিক সাঈদের সমর্থকদের দুটি গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন।
সংগঠনের নেতাকর্মীরা জানান, লালবাগ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি খালেদ রাজু, কোতোয়ালী থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নুরুল ইসলাম নুরু এবং ইকবালের মধ্যে কথা কাটাকাটির জের ধরে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। দুই পক্ষের নেতাকর্মীরা লাঠি-সোঠা নিয়ে আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণ চালায়। এ সময় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন মন্দিরে আসা দর্শনার্থীরা।
এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক একেএম আফজালুর রহমান বাবু। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
নেতাকর্মীরা বলছেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক তারিক সাঈদের সমর্থকরা প্রায়ই সংঘর্ষে জড়িয়ে খবরের শিরোনাম হচ্ছেন। এতে সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। গত আগস্টে কাকরাইলের ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটেও সংঘর্ষে জড়ান তারা। সে সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সধারণ সম্পাদক এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের সামনে এ ঘটনা ঘটায় তিনি বেশ বিব্রত হন। ওই ঘটনায় সেদিন রাতেই শাহবাগ থানা এবং তার অন্তর্গত ২০ নং ওয়ার্ড কমিটি স্থগিত করা হয়।
ঢাকেশ্বরী মন্দিরের ঘটনা প্রসঙ্গে তারিক সাঈদ জানান, সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ড এবং দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশে পাঁচজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।