রাজনীতি

ঢাকা-১৮ ও সিরাজগঞ্জ-১ আসনে ভোটগ্রহণ চলছে

করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে ঢাকা-১৮ ও সিরাজগঞ্জ-১ আসনে আরও দুটি উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলবে। 

নির্বাচনের সময় সংশ্লিষ্ট এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা হলেও এ নির্বাচনে তা হচ্ছে না। কেবলমাত্র নির্বাচন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো ভোটের সময় বন্ধ রয়েছে। এছাড়া যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞাও শিথিল করা হয়েছে।

ইসি জানায়, ইসি সচিবালয়ের চাহিদা মতে ঢাকা-১৮ ও সিরাজগঞ্জ-১ উপনির্বাচনের দিন যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনা ভোট কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে সেগুলো বন্ধ থাকবে। সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় সংস্থা/প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ভোটারদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ দানে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে।

ইসির জনসংযোগ পরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান জানান, গত ১০ নভেম্বর দিবাগত (মঙ্গলবার) মধ্যরাত ১২টা থেকে ১৩ নভেম্বর (শুক্রবার) মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। পাশাপাশি বুধবার রাত ১২টা থেকে  ১২ নভেম্বর দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত ট্রাক ও পিকআপ ভ্যান চলাচল করতে পারবে না। এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার জন্য জেলা প্রশাসক এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্তৃপক্ষকে ক্ষমতা দিয়েছে ইসি। তবে রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমতি সাপেক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী/তাদের নির্বাচনী এজেন্ট এবং দেশি/বিদেশি পর্যবেক্ষকদেও ক্ষেত্রে এ কড়াকড়ি শিথিল করা যাবে।

এছাড়া নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত সাংবাদিক, ভোটের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, নির্বাচনের বৈধ পরিদর্শক এবং অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডাক, টেলিযোগাযোগের যানবাহন নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে না। জাতীয় মহাসড়কে চলাচলরত এবং বন্দর ও জরুরি পণ্য সরবরাহে নিয়োজিত যানবাহনের ক্ষেত্রেও প্রয়োজনে এ নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা যাবে।

ইসির নির্বাচন পরিচালনা সূত্র জানায়, ঢাকা-১৮ আসনটি ঢাকা উত্তর সিটির ১, ১৭, ৪৩ থেকে ৫৪ নম্বর ওয়ার্ড ও বিমানবন্দর এলাকা নিয়ে গঠিত। মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ২১৭টি ও ভোটকক্ষের সংখ্যা এক হাজার ৩৫৩টি। মোট ভোটার ৫ লাখ ৭৭ হাজার ১৮৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৯৬ হাজার ১৩৫ জন এবং নারী ভোটার ২ লাখ ৮১ হাজার ৫৩ জন। এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৬ জন। এরা হলেন— আওয়ামী লীগের মোহাম্মদ হাবিব হাসান (নৌকা), বিএনপির এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন (ধানের শীষ), জাতীয় পার্টির মো. নাসির উদ্দিন সরকার (লাঙ্গল), বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. ওমর ফারুক, গণফ্রন্টের কাজী মো. শহীদুল্লাহ ও পিডিপির মো. মহিববুল্লা বাহার।

সিরাজগঞ্জের কাজীপুর, সদরের একাংশ ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত সিরাজগঞ্জ-১ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৬০৩জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭১ হাজার ৬৪১ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৭৩ হাজার ৯৬২ জন। ১৬৮টি কেন্দ্রে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।