রাজনীতি

বিএনপি নেত্রী মুচলেকা দিয়ে মুক্তি পেয়েছেন: জিএম কাদের

জাতীয় পার্টিকে আগামী দিনের একমাত্র সম্ভাবনাময় রাজনৈতিক শক্তি উল্লেখ করে দলটির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, বিএনপি নেত্রী মুচলেকা দিয়ে জেলা থেকে মুক্তি পেয়েছেন। তিনি রাজনীতির বাইরে আছেন। আবার তাদের আরেক শীর্ষনেতা দেশের বাইরে, দলে তার গ্রহণযোগ্যতা নেই।

রোববার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের  বনানী কার্যালয়ে জাতীয় পার্টি নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর এবং মুন্সীগঞ্জ জেলার সাংগঠনিক সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং ঢাকা বিভাগীয় অতিরিক্ত মহাসচিব লিয়াকত হোসেন খোকা এমপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সাংগঠনিক সভায় দলের মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জামাল উদ্দিন, ভাইস চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান খান, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, মো. নোমান মিয়া, জেলা নেতা সানাউল্লাহ সানু, মিজানুর রহমান মিরু, আব্দুল বাতেন, আফজাল হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

জিএম কাদের বলেন, বিএনপির রাজনৈতিক নেতৃত্বে শুন্যতা সৃষ্টি হয়েছে। ঢাকার সাবেক এক মেয়র বর্তমান মেয়রকে দুর্নীতিবাজ ও অযোগ্য ঘোষণা করেছেন প্রকাশ্যে। এই অবস্থায় জাতীয় পার্টির দিকে তাকিয়ে দেশে মানুষ। তারা মনে করে জাতীয় পার্টি দেশের মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারে।

প্রয়োজনে ভারতের পাশাপাশি বিকল্প উৎস থেকে করোনা প্রতিরোধে ভ্যাকসিন আমদানির আহ্বান জানিয়েছেন বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের।

তিনি বলেন, ১৬ থেকে ১৮ কোটি মানুষের জন্য শুধু ভারতের উপর ভরসা করে বসে থাকলে হবে না। ভ্যাকসিন নিশ্চিত করতে বিকল্প উৎসের সাথে সরকারিভাবেই যোগাযোগ থাকতে হবে।  প্রতিটি মানুষের জন্য বিনামূল্যে ভ্যাকসিন নিশ্চিত করে প্রয়োজনীয় লোকবলকে এখনই প্রশিক্ষণ দেওয়ার আহ্বান জানান জিএম কাদের।

সরকারের সমালোচনা করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, দেশে নাকি মাথাপিছু আয় বেড়েছে, আসলে বৈষম্য বেড়েছে। কিছু মানুষ লুটপাট করে টাকার পাহাড় জমিয়েছে।  তাদের টাকা দেশে রাখার জায়গা নেই, এখন বিদেশ পাচার করছে।  বিদেশে বেগম পাড়া হচ্ছে দেশের টাকা পাচার করে। তাই মাথা পিছু আয় বেড়েছে কিন্তু তাতে দেশের মানুষের মঙ্গল হয়নি। করোনার আগে দেশে সাড়ে ৪ থেকে ৫ কোটি বেকার ছিল, এখন বেকার বা আধা বেকারের সংখ্যা কেউ জানে না। এতে সরকারের ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে, জাবাবদিহিতা নেই বললেই চলে।

এ সময় প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভরায়, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও চেয়ারম্যানের বিশেষ সহকারী মীর আব্দুস সবুর আসুদ, রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, শফিকুর রহমান শফিক, বেলাল হোসেন, হেলাল উদ্দিন, এনাম জয়নাল আবেদীন, হুমায়ুন খান, সাইফুল ইসলাম, সৈয়দ ইফতেকার আহসান হাসান, মাসুদুর রহমান মাসুম, সুলতান আহমেদ, এম.এ. রাজ্জাক খান, মাহমুদ আলম, সমরেশ মণ্ডল, মো. আনোয়ার হোসেন, আবু নাঈম ইকবাল, আক্তারুজ্জামান খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।