রাজনীতি

ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়ার শপথ যুবলীগের

যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেছেন, ‘দেশকে নিয়ে, দেশের উন্নয়নকে নিয়ে, রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকে নিয়ে যারাই ষড়যন্ত্র করবে বা ষড়যন্ত্র করার ধৃষ্টতা দেখাবে, তাদের বিরুদ্ধে যুবলীগের প্রতিটি নেতাকর্মী রুখে দাঁড়াব। তাদের সব ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙা জবাব দেবো।’

বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে রোববার (১০ জানুয়ারি) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ‌্যাভিনিউয়ে দোয়া মাহফিল, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী ও দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, ‘ইতিহাসের মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের পথপরিক্রমায় পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তোলে বাঙালি জাতি। বাঙালি জাতিকে মুক্তির মহামন্ত্রে উজ্জীবিত করে স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের পথে এগিয়ে নিয়ে যান বঙ্গবন্ধু।’

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ২৯০ দিন পাকিস্তানের কারাগারে প্রতি মুহূর্তে মৃত্যুর প্রহর গুনতে গুনতে ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি মুক্তি পান। সদ্য স্বাধীন যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের কিছুই ছিল না। মাত্র সাড়ে তিন বছরের শাসনামলে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে একটি সুন্দর কাঠামোর ওপর দাঁড় করান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।’

‘প্রশাসনের এমন কোনো সেক্টর নেই, যেখানে তিনি তার মেধা ও প্রজ্ঞার স্বাক্ষর রাখেননি। তারই দেখানো পথে, তারই অসমাপ্ত কাজ স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা,’ বলেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মামুনুর রশীদ, মঞ্জুর আলম শাহীন, শেখ ফজলে ফাহিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুব্রত পাল, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মো. মাজহারুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত প্রমুখ।

এছাড়া, যুবলীগের ঢাকা মহানগর উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা, সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী সারোয়ার হোসেন বাবু প্রমুখ কর্মসূচিতে অংশ নেন।