রাজনীতি

জন্মদিনে ভালোবাসায় সিক্ত রুহুল আমিন হাওলাদার

৬৮ বছরে পা রাখলেন সাবেক মন্ত্রী ও জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার। জন্মদিনে পরিবার, দলীয় নেতাকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদের ফুলেল শুভেচ্ছা আর ভালোবাসায় সিক্ত হলেন তিনি। কেক কেটে নেতাকর্মীরা শুভেচ্ছা জানান তাকে।

জন্মদিন উপলক্ষে মঙ্গলবার (২ মার্চ) সকাল থেকেই তার গুলশানস্থ বাসভবনে পরিবারের আত্মীয় স্বজন, দলের নেতাকর্মীর পদচারণা। তাদের কারও হাতে গোলাপ, রজনীগন্ধা, কারও হাতে বড় সাইজের দৃষ্টিনন্দন কেক।

দলের কেন্দ্রীয় নেতা থেকে শুরু করে জেলা উপজেলা নেতারাও আসেন তাকে রুহুল আমিন হাওলাদারকে শুভেচ্ছা জানাতে। ফুল নিয়ে শুভেচ্ছা জানান দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরাও।

জাপার ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের বিভিন্ন থানা কমিটি, ওয়ার্ড নেতারাও ফুল দিয়ে হাওলাদারকে শুভেচ্ছা জানান। কেউ কেউ তার বাসায় জন্মদিনের কেক কেটে শুভেচ্ছা জানান নেতাকে।

এ সময় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সান্নিধ্যে এসে দেশবাসী ও নেতাকর্মীদের যে ভালোবাসা আমি পেয়েছি, তার ঋণ কখনও শোধ করতে পারবো না। যতদিন বেচে থাকবো পল্লীবন্ধু আদর্শ ও স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে যাবো। অতীতের মতো নেতাকর্মীদের পাশে থাকার কথাও বলেন তিনি।

রুহুল আমিন হাওলাদার ১৯৫৩ সালের ২ মার্চ বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার ভরপাশা গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের জন্মগ্রহণ করেন।

তিনি দীর্ঘদিন জাতীয় পার্টির মহাসচিব ছিলেন। বর্তমানে তিনি দলটির কো-চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন।

১৯৭৯ সালের দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাত্র ২৬ বছর বয়সে জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী হিসেবে তৎকালীন বাকেরগঞ্জ-১১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮১ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত তিনি বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী ছিলেন।

হাওলাদার ১৯৮৬ সালের তৃতীয় ও ১৯৮৮ সালের চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি মনোনয়নে তৎকালীন বাকেরগঞ্জ-৬ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি সংসদের হুইপ, কৃষি ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং সর্বশেষ বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন।

২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে হাওলাদার পটুয়াখালী-১ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট সরকারের বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বেও ছিলেন।