বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেছেন, ‘দেশ আজ দুই ভাগে বিভক্ত। একদিকে ১ শতাংশ লুটেরা ধনিক শ্রেণি, অন্যদিকে ৯৯ শতাংশ মেহনতি মানুষ। সরাসরি লড়াই চলছে। লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সম্মুখভাগে থাকবে সিপিবি।’
শুক্রবার (৫ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। ছাত্র ইউনিয়ন ও ছাত্রফ্রন্টের সাত ছাত্রনেতার নিঃশর্ত মুক্তি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে এ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়।
মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, ‘ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা নেয় না। আজ যেখানে আমরা এ সমাবেশ করছি, সেখানে ১৯৭৩ সালে পুলিশ গুলি করে ছাত্র ইউনিয়নের মতিউর ও কাদেরকে হত্যা করেছিল। তখন আমি বলেছিলাম, যার হাত সন্তানের রক্তে রঞ্জিত, তাকে জাতির পিতা আমরা মানি না। এটা কোনো রাষ্ট্রবিরোধী কথা ছিল না, এটা ছিল সরকারের সমালোচনা। আজকে ক্ষমতায় থাকার জন্য শেখ হাসিনা রাষ্ট্র, সরকার সব এক করে ফেলেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘ লেখক, কার্টুনিস্ট, সাংবাদিক, ছাত্রদের আজকে ডিজিটাল আইনে গ্রেপ্তার করে জেলে রেখে নির্যাতন করা হচ্ছে। সরকার সুপরিকল্পিতভাবে বিচারব্যবস্থাকে প্রভাবিত করছে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে রাতের অন্ধকারে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন—সিপিবির সহকারী সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ জহির চন্দন, প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুল্লাহ কাফী রতন, জলি তালুকদার, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আবদুল কাদের, নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সাবেক সভাপতি জিয়া হায়দার, ছাত্রনেতা সাখাওয়াত ফাহাদ, মমতা চক্রবর্তী প্রমুখ।