রাজনীতি

চরম বিশৃঙ্খলায় ত্রাণ লুট

করোনায় সংকটে থাকা অসহায় দরিদ্র ও ভাসমান মানুষকে ত্রাণ ও ঈদ উপহার দিতে গিয়ে আয়োজকদের চরম বিশৃঙ্খলায় সেগুলো লুট করে নিয়েছেন ত্রাণ নিতে আসা লোকজন। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এই ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় শহীদ মিনারে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মো. আজহারের উদ্যোগে ত্রাণ দেওয়ার কার্যক্রম ছিল। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ।

বেলা পৌনে ১টার দিকে তথ্যমন্ত্রী অনুষ্ঠান স্থলে এসে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দিয়ে কয়েকজনকে ত্রাণ দিয়ে চলে যান।  মন্ত্রী চলে যাওয়ার পর ঢাকা মহানগর দক্ষিণের শীর্ষ অনেক নেতাও অনুষ্ঠান স্থল ত্যাগ করেন। এরপরেই  বিশৃঙ্খলার শুরু। আয়োজকদের ত্রাণ বিতরণে ধীরগতি এবং বিশৃঙ্খলায় ত্রাণ নিতে আসা মানুষজনের ধৈর্য্যের বাধ ভেঙে যায়।  হঠাৎ করেই তারা একসাথে ত্রাণের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন।  যে যেভাবে পেরেছে ত্রাণ ও ঈদ উপহার ছিনিয়ে নিয়েছে।

আর যারা ত্রাণ পাননি তারা ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক মো. আজহারের ওপর হামলা করেন। তারা জামাকাপড় টানা-হেচড়া করেন। এক পর্যায়ে সেখানে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

ত্রাণ নিতে আসা কয়েকজন জানান, অনুষ্ঠানে প্রায় ৩০/৩৫জন বক্তব্য দেন।  নেতাদের দীর্ঘক্ষন ধরে বক্তব্য দেওয়া এবং ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা বিরক্তি ধরিয়ে দেয়।  এজন্য ত্রাণ নিতে তাদের তর সইছিলো না।  ত্রাণ দিতে  ধীরগতি দেখেই এই ঝাঁপিয়ে পড়ার ঘটনা ঘটেছে।

এ ঘটনায় মহানগর আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বিব্রত হয়েছেন। তারা এজন্য আয়োজকদের পরিকল্পনাহীনতা ও শৃঙ্খলা না থাকাকে দায়ী করেছেন।

এ সম্পর্কে মো. আজহার রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘করোনা পরিস্থিীর কারণে একটু খোলা জায়গায় আমরা প্রোগ্রামটা করেছি। কিন্তু ত্রাণ নিতে আসা কিছু নেশাগ্রস্থ পুরষ-মহিলা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। আমার তাদের বলেছি যে, যত ত্রাণ-উপহার আছে তা সবার মাঝে দেওয়া যাবে। কিন্তু তারা সেটি না শুনে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। শেষে আমরা ওই স্থান থেকে চলে এসেছি।’