রাজনীতি

একটি দল সরকারের বিরুদ্ধে গলাবাজি করছে: কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, একটি দল সরকারের বিরুদ্ধে গলাবাজি করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সারা দেশে দলীয় নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধিরা অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু একটা দল ঢাকায় বসে শুধু লিপ সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, বিপন্ন মানবতার পাশে দাঁড়িয়ে দুর্যোগ দুর্বিপাকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করছেন ৭৫ পরবর্তীকালে কোনো সরকার প্রধান বা রাজনৈতিক নেতা এমন নজির স্থাপন করতে পারেনি।

বুধবার (৫ মে) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটি আয়োজিত দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে অক্সিজেন সিলিন্ডার সরবরাহ ও অসহায়-দরিদ্র মানুষের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনার এই দুঃসময়ে তারা (বিএনপি) মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে এমন একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারেনি, কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তা করে দেখিয়েছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা একেক সময় এক এক আন্দোলনের ওপর ভর করে ষড়যন্ত্রমূলক তৎপরতায় লিপ্ত। তারা করোনার এই সংকটের সময়েও তারা সহিংসতার উসকানি দিচ্ছে।

যারা ভাসমান, ঘর বাড়ি নেই তাদের ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করার উদ্যোগ নিতে হবে এবং বিতরণের সময় সবাইকে একটি করে মাস্ক বাধ্যতামূলক দিতে হবে বলেও জানান তিনি।

সারাদেশে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে ক্যাম্পেইন করার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। 

লকডাউনে অনেকেই চোরাইপথে আসা যাওয়ার সুযোগ নিচ্ছেন, সম্প্রতি পদ্মায় স্পিড বোট ডুবিতে ২৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এ বিষয়ে সবাইকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকারকে ফাঁকি দেওয়া যায় কিন্তু মৃত্যুকে ফাঁকি দেওয়া যায় না।

 এ ধরনের ঝুঁকি নিলে উৎসবের আগেই মৃত্যুর ট্যাজেডি অনিবার্য হয়ে পড়ে, কাজেই এ ধরনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল না করার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানান তিনি।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, সবাইকে মনে রাখতে হবে আগে জীবন পরে জীবিকা, তাই উৎসব আনন্দের কি দাম আছে, যদি জীবন থেকেই দুরে সরে যেতে হয়।  বেঁচে থাকলে ভবিষ্যতে অনেক উৎসব-আনন্দ করা যাবে। 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ঈদযাত্রা যেন অন্তিম যাত্রায় পরিণত না হয়-সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। 

২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয় প্রান্তে এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, আবদুর রহমান, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাক্তার রোকেয়া সুলতানা, শিক্ষা সম্পাদক সামছুন্নাহার চাঁপা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির ও সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট নুরুল আমিন রুহুল।