জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, চার মাস অতিবাহিত হলেও বঙ্গভ্যাক্স এর ট্রায়াল হচ্ছে না কেন- তা দেশের মানুষ জানতে চায়।
সোমবার (১০ মে) এক বিবৃতিতে তিনি এ প্রশ্ন তোলেন।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, করোনা প্রতিরোধে বিদেশি টিকা আমদানির পাশাপাশি দেশে তৈরি টিকা বঙ্গভ্যাক্স এর সফলতার জন্য সরকারিভাবে সহায়তা দিতে হবে।
গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, গত জানুয়ারিতে গ্লোব বায়োটেক ইথিক্যাল ট্রায়ালের জন্য বাংলাদেশ মেডিক্যাল রিচার্স কাউন্সিলরে (বিএমআরসি) অনুমতি চেয়ে আবেদন করে কিন্তু অজ্ঞাত কারণে এখনো অনুমতি মেলেনি। অথচ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনা প্রতিরোধে বঙ্গভ্যাক্স-কে তালিকাভুক্ত করেছে। গত বছর ২৮ ডিসেম্বর গ্লোব বায়োটেককে বঙ্গভ্যাক্স ট্রায়ালের জন্য ভ্যাকসিন উৎপাদনের অনুমতি দিয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর। কিন্তু বিএমআরসির অনুমতি না পাওয়ায় সফলতার মুখ দেখছে না দেশে তৈরি করোনা টিকা বঙ্গভ্যাক্স।
গবেষকদের উদ্ধৃতি দিয়ে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, ভ্যাকসিনটির অ্যানিম্যাল ট্রায়ালে এক ডোজেই কার্যকর অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালেও অনুরূপ ফলাফলের আশা করছেন গবেষকরা। এক ডোজের টিকা বঙ্গভ্যাক্স সিন্থেটিক্যালি তৈরি হওয়ায় তা ভাইরাস মুক্ত এবং শতভাগ হালাল। তাই বিদেশি টিকা আমদানির পাশাপাশি বঙ্গভ্যাক্স উৎপাদনে সরকারিভাবে সহায়তা করতে হবে।
বঙ্গভ্যাক্স ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে সফল হলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রফতানি করা সম্ভব হবে। করোনা প্রতিরোধে বিশ্বে চমক সৃষ্টি করতে পারে বাংলাদেশের বঙ্গভ্যাক্স, এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন সাবেক এই বাণিজ্যমন্ত্রী।