রাজনীতি

আহলে সুন্নাতের পদযাত্রায় পুলিশের বাধা, স্মারকলিপি পেশ

ফিলিস্তিন সংকট নিরসনের দাবিতে জাতিসংঘের ভেটো ক্ষমতাসম্পন্ন পাঁচ স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্রের দূতাবাস অভিমুখে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের পদযাত্রায় বাধা দিয়েছে পুলিশ।

শুক্রবার (২১ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণজমায়েত শেষে আহলে সুন্নাতের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী পাঁচ দূতাবাস অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করে। বিজয়নগর মোড়ে যেতেই তাদের আটকে দেয় পুলিশ। পরে পুলিশের অনুরোধে আহলে সুন্নাতের একটি প্রতিনিধিদল যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, চীন ও ফ্রান্সের দূতাবাসে স্মারকলিপি পৌঁছে দেয়।

এর আগে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সংগঠনের চেয়ারম্যান শাইখুল হাদিস আল্লামা কাজী মুহাম্মদ মুঈন উদ্দিন আশরাফীর সভাপতিত্বে ও নির্বাহী মহাসচিব উপাধ্যক্ষ মুফতি আবুল কাশেম মুহাম্মদ ফজলুল হকের সঞ্চালনায় গণজমায়েত হয়।

গণজমায়েতে বক্তব্য রাখেন—আহলে সুন্নাতের মহাসচিব পীর সৈয়দ মুসিহুদ্দৌলা, কো-চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সৈয়দ মুহাম্মদ অসিয়র রহমান আলকা দেরী, স্টান্ডিং কমিটির সদস্য এম এ মতিন, স উ ম আবদুস সামাদ,  কেন্দ্রীয় নেতা- সৈয়দ মুজাফফর আহমদ মুজাদ্দেদী, কাজী মুহাম্মদ মোবারক হোসেন ফরায়েজী, ড. মাওলানা হাফেজ হাফিজুর রহমান, মুফতি মাহমুদুল হাসান কাদেরী, হাফেজ মুনিরুজ্জামান কাদেরী, ড. মুহাম্মদ নাসির উদ্দীন নঈমী, অ‌্যাডভোকেট মাহবুবুল আলম আশরাফী, মাওলানা ছোলায়মান খান রাব্বানী, ম ম জিলানী, কাজী জসিম উদ্দিন সিদ্দিকী আশরাফী, মাওলানা আব্দুল হাকিম, সৈয়দ মুহসিন ভান্ডারী, সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া আল আজহারী, মাওলানা ইদ্রিস মুনিরী, মহিউদ্দিন হামেদী, মুহাম্মদ ইমরান হুসাইন তুষার, অধ্যক্ষ আবি নাসের মুসা, আরিফুল ইসলাম, মাওলানা সোহাইল উদ্দিন আনসারী, শাইখ সৈয়দ মুহাম্মদ হাসান আল আজহারী, মাওলানা জয়নাল আবেদীন কাদেরী, শাইখ আবদুল রাহীম আল আজহারী, মুহাম্মদ শাহ আলম, মুহাম্মদ সাইফুদ্দিন, মুহাম্মদ আবুল হাশেম, গোলাম কিবরিয়া, হারুনুর রশিদ সিদ্দিকী, হাজী মুহাম্মদ রুবেল, রেফাজ উদ্দীন, আবুল হোসেন, অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান, সিদ্দীকুর রহমানের সরকার, ড. অধ্যক্ষ এস এম সরওরার, অ‌্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ, শাফায়াত উল্লাহ প্রমুখ।

আহলে সুন্নাতের চেয়ারম্যন কাজী মুহাম্মদ মুঈন উদ্দিন আশরাফী বলেন, ‘যুদ্ধবিরতি ফিলিস্তিন সংকটের সমাধান নয়, বরং ইসরায়েলকে গণহত্যার জন্য শাস্তি পেতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘জাতিসংঘের নির্লিপ্ততা ইসরায়েলকে বেপরোয়া করে তুলেছে। মার্কিনিদের দ্বিমুখী নীতি জাতিকে বিভ্রান্ত করছে। গাজায় ফিলিস্তিনি মুসলমানদের ওপর যেভাবে ইসরায়েলি হামলা ও নির্বিচারে ফিলিস্তিনি শিশু-নারীসহ সাধারণ নাগরিকদের হত্যা করা হচ্ছে, তা কখনও মেনে নেওয়া যায় না।’

আহলে সুন্নাতের স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা দাবিগুলো হলো—ফিলিস্তিনের হামলার প্রতিবাদে জাতিসংঘে নিন্দা প্রস্তাব পাশ করা, আন্তর্জাতিক আদালতে মানবধিকার লঙ্ঘন ও যুদ্ধাপরাধের দায়ে ইসরায়েলের বিচার করা, জাতিসংঘে ইসরায়েলের সদস্য পদ স্থগিত করা, ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি এবং রাজধানী জেরুজালেম ও আল আকসা মসজিদের ওপর মুসলমানদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করা, ভবিষ্যতে ফিলিস্তিনসহ বিশ্বের সব দেশে মুসলমানদের ওপর নিপীড়ন বন্ধ করা প্রভৃতি।