রাজনীতি

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে রাজনৈতিক ইন্ধন আছে: কাদের

নিরাপদ সড়কসহ বিভিন্ন দাবিতে কিছুদিন ধরে রাজধানীর রামপুরায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পেছনে একটি রাজনৈতিক দলের ইন্ধন আছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেছেন, ‘এই আন্দোলনটা একটা বিশেষ এলাকায় সীমাবদ্ধ আছে। এটা রামপুরা এলাকাতেই শুধু হচ্ছে। ছাত্রছাত্রীরা যখন আন্দোলন শেষে লেখাপড়ায় মনোনিবেশ করছে, তখনই একটি মহল রাজনৈতিক উস্কানি দিচ্ছে।’

শনিবার (৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে সড়ক নিরাপত্তাবিষয়ক রোড শোতে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘রাজনৈতিক দল থেকে শিক্ষার্থীদের উস্কানি দেওয়া হয়। সেটার প্রমাণ আমাদের কাছে আছে। এর ভিডিও ফুটেজ আছে। একটা রাজনৈতিক দলের মহানগর কমিটির নেত্রী রামপুরায় রাস্তায় নেমে ছাত্রছাত্রীদের উসকানি দিচ্ছেন, স্কুলের ড্রেস পরে।’

রাস্তা ছেড়ে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় মনোনিবেশ করার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘প্যান্ডামিকের কারণে শিক্ষার্থীদের অনেক সময় নষ্ট হয়েছে। অনেক ক্ষতি হয়েছে তাদের। তারা এখন পড়াশোনায় মনোনিবেশ করুক, এটাই আমাদের চাওয়া।’

রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে সড়ক নিরাপত্তাবিষয়ক রোড শোতে অংশ নেন ওবায়দুল কাদের

অনেক সরকারি দপ্তর ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়ির কাগজপত্র নেই, বিষয়টি সড়ক পরিবহনমন্ত্রীকে অবহিত করা হলে তিনি বলেন, ‘এসব সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’ আন্দোলনের উস্কানিদাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, ‘আইনি ব্যবস্থা যেভাবে নেওয়া হয়, সেভাবে নেওয়া হবে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার বিষয়টি তো আমার হাতে নেই। তদন্ত করে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

খালেদা জিয়ার জন্য নানা আন্দোলনের হুমকি দিয়ে বিএনপি রাজপথে ব্যর্থ হয়েছে, মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বেগম জিয়ার জন্য একটা কার্যকর মিছিল চোখে পড়েনি। এখন মায়াকান্না করছে। তার পছন্দমতো দেশের সর্বাধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসা হচ্ছে।’

‘খালেদা জিয়াকে নিয়ে তারা (বিএনপি) কী করেছে? সাত বছর মামলাটা ঝুলিয়ে রেখেছে। বিএনপি একটা দল, এত বড় বড় লইয়ার, সেখানে লিগ্যাল ব্যাটলে তারা কিছু করতে পারেনি’, বলেন তিনি।

আদালতের রায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত কারও সাজা স্থগিত করে চিকিৎসা নেওয়ার উদাহরণ বিএনপির শাসনামলে নেই, উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এখন যে উনারা বড় বড় কথা বলেন, তাদের সময় কাকে তারা এ সুযোগ দিয়েছে? জিয়াউর রহমানের সময়ে, খালেদা জিয়ার সময়ে কখনও কি কাউকে এভাবে বিদেশে যাওয়ার, চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ দিয়েছে?’