বানভাসি মানুষের সহায়তায় সরকার ও বিত্তশালীসহ দলীয় নেতাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ। বুধবার (১৮ মে) এক বিবৃতিতে তিনি এ আহ্বান জানান।
রওশন এরশাদ বলেন, কয়েক দিন ধরে টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সিলেটে পানিবন্দি লাখো মানুষ। আকস্মিক বন্যায় সিলেট নগর, কানাইঘাট-জকিগঞ্জসহ ১৩টি উপজেলার বন্যাকবলিত মানুষ খাবারের সঙ্কটে পড়েছে। বানভাসি মানুষের সহায়তার জন্য সরকারের পাশাপাশি বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি জাতীয় পার্টির সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের এ দুর্যোগকালীন বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ জানান।
তিনি বলেন, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি ক্রমাগত খারাপের দিকে যাচ্ছে। এ অবস্থায় বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সরকারকে এখনই করণীয় ঠিক করতে হবে। বন্যার সময় বিভিন্ন ত্রাণসামগ্রী বিতরণের একটা রেওয়াজ দেশে গড়ে উঠেছে। তবে এ ধরনের সাহায্য-সহযোগিতা বন্যাকবলিত মানুষের জীবনে স্থায়ী কোনো প্রভাব ফেলে না বিধায় বন্যাকে স্থায়ীভাবে জয় করার পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি। এজন্য নদ-নদীগুলোর নাব্যতা বাড়াতে হবে সর্বাগ্রে।
আমাদের অবিবেচনাপ্রসূত কর্মকাণ্ড ও অদূরদর্শিতায় এক সময়ের খরস্রোতা নদীগুলো আজ জীর্ণশীর্ণ। নদীগুলোকে অবশ্যই রক্ষা করতে হবে। বন্যাসহ যেকোনো দুর্যোগে সবার আগে মানবিক দিকগুলোর প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। দুর্যোগকবলিত অসহায় মানুষ যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্য ও পানীয় পান, সেদিকে স্থানীয় প্রশাসনের বিশেষ যত্নবান হওয়ার পাশাপাশি তাদের স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়েও পূর্ণ প্রস্তুতি থাকা উচিত বলে মনে করেন এই বিরোধীদলীয় নেতা।
তিনি বলেন, বন্যার সময় বিশুদ্ধ পানীয় জলের অভাবে দুর্যোগকবলিত মানুষের মধ্যে ডায়রিয়া ও আমাশয়সহ বিভিন্ন ধরনের পীড়ার প্রাদুর্ভাব ঘটে। কাজেই দুর্গত মানুষ যাতে স্বাস্থ্য সঙ্কটে না পড়ে, সে লক্ষে আগেভাগেই ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। বন্যা-পরবর্তী সংস্কার ও পুনর্বাসনের ব্যাপারেও মনোযোগ দিতে হবে।
বিশেষ করে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক-মহাসড়ক, বেড়িবাঁধ, স্লুইসগেট ইত্যাদির দ্রুত সংস্কার ও মেরামতসহ ক্ষেতের ফসল, গবাদিপশু ও ঘরবাড়ি হারানো মানুষকে যতটা সম্ভব আর্থিক সহায়তা প্রদান করা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ বিত্তবানদের উচিত বিশেষ ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করে উপদ্রুত এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়ানো।