রাজনীতি

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আ.লী‌গের সাধারণ সম্পাদক‌কে শোকজ

সম্প্রতি রাজধানীর লালবা‌গে ওয়ার্ড কমিটির স‌ম্মেল‌নে নেতাকর্মী‌দের গা‌লিগালাজ করায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূন কবিরকে কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়েছে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ। ১৫ দিনের মধ্যে এর জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া রাইজিংবি‌ডি‌কে বিষয়‌টি নি‌শ্চিত ক‌রে‌ছেন।

দলের নির্দেশ উপেক্ষা করে ২৩ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) বিকেলে চকবাজার থানায় দলীয় কর্মসূচি করায় সেখানে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি এবং লালবাগ থানা সম্মেলনে অসাংগঠনিক শব্দ ব্যবহার করায় দলের গঠনতন্ত্রের ৪৭ ধারা মোতাবেক হুমায়ূন কবিরকে শোকজ করা হয়।

বিপ্লব বড়ুয়া জানিয়েছেন, হুমায়ূন কবির শুক্রবার রাতে জে দপ্তরে এসে শোকজের চিঠি গ্রহণ করেছেন।

বুধবার ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের লালবাগ থানা ইউনিটের সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের উপস্থিতিতেই বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের চার পক্ষ। 

এ সময় বিশৃঙ্খলা থামাতে গিয়ে মাইক হাতে নিয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ হুমায়ুন কবির ‘শুয়োরের বাচ্চা’ বলে গালি দেন বিশৃঙ্খলাকারীদের। সম্মেলনের নেতাকর্মীদের মধ্যে মোট পাঁচ দফায় হাতাহাতি মারামারি হয়েছে।

মাইকে বারবার নির্দেশ দেওয়া হলেও থামেনি বিশৃঙ্খলা। বিশৃঙ্খলা থামাতে গিয়ে মাইক হাতে নিয়ে হুমায়ুন কবির বলেন, ‘স্লোগান বন্ধ করো। স্লোগান বন্ধ কর শুয়োরের বাচ্চারা।' রাজধানীর লালবাগেই বাড়ি হুমায়ুন কবিরের।

এ সময় আব্দুর রাজ্জাক মারামারি থামানোর জন্য নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘মারামারি থামানোর জন্য আহ্বান করছি। বিশৃঙ্খলা করবেন না, বিশৃঙ্খলা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। থামুন আপনারা। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আপনাদের মাঝে এসেছেন। এর গুরুত্ব উপলব্ধি করুন আপনারা।’

এ সময় ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘লাফালাফি, বাড়াবাড়ি করবেন না। নির্বাচনের ১৪ মাস বাকি। অথচ শোডাউন দিয়ে শক্তি প্রদর্শন শুরু করেছেন। আপনারা কেউ এমপি হতে পারবেন না, নেতা হতে পারবেন না।’

এছাড়া, চকবাজার থানা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের পূর্বনির্ধারিত তারিখ ছিল শুক্রবার বিকেল ৩টায়। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ সেই সম্মেলন না করার জন্য বললেও নির্দেশ না মেনে সমাবেশ করে চকবাজার থানার অন্তর্গত বিভিন্ন শাখা আওয়ামী লীগ। সমাবেশস্থলে নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়।