‘আওয়ামী লীগ কবে ভালো ছিল’- এমন প্রশ্ন করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, অনেকেই বলে বর্তমান আওয়ামী লীগ আর সেই আওয়ামী লীগ নেই। যারা একথা বলেন, আমি তাদের উদ্দেশে বলি- ‘আওয়ামী লীগ কবে ভালো ছিল?’
সোমবার (৩ অক্টোবর) সকালে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক মানববন্ধনে রিজভী এসব কথা বলেন। ইডেন কলেজে ছাত্রলীগের ‘নজিরবিহীন কেলেঙ্কারি’ ও সারাদেশে নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে এই মানববন্ধনের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল।
এসময় রিজভী বলেন, ১৯৭২-৭৫ সালে আমরা দেখেছি লাল, নীল, সবুজ বাহিনী। এ ছাড়াও রক্ষীবাহিনীর কথা তো আমরা সবাই জানি। এখন আমরা দেখছি নানা বাহিনী, ছাত্রলীগ যুবলীগ বাহিনী। সঙ্গে পুলিশ-র্যাব এসব তো আছেই।
রিজভী বলেন, দেশকে এক ভয়াবহ অন্ধকারে নিমজ্জিত করেছে বর্তমান সরকার। এর পরিণাম যে কী ভয়াবহ হবে সেটা ওনারা টের পাচ্ছেন না। গোটা দেশকে এক লুটপাটের অভয়ারণ্যে পরিণত করা হয়েছে। এই অনাচার চলতে দেওয়া যায় না। জাতীয়তাবাদী শক্তির নেতৃত্বে মহিলা দলের নেতাকর্মীদের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
বিএনপির এই শীর্ষনেতা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও ইডেন কলেজে যা হচ্ছে তা অবর্ণনীয় ও ন্যক্কারজনক। আসলে সরকার ছাত্রলীগকে কী বানাচ্ছে? তাদের তো খুনি বানাচ্ছে।
রিজভী বলেন, যারা রাষ্ট্রযন্ত্রকে অবৈধভাবে কব্জা করে রেখেছেন, যারা দিনে ভোট করার যারা সাহস পান না; যাদের রাতের অন্ধকারে ভোট করতে হয়- তারা তো দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শান্তিপূর্ণভাবে চলুক, দেশের মানুষ উচ্চ শিক্ষিত হোক এটা চাইবে না। তারা ইডেন কলেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো অনেক জায়গায় ছাত্রলীগকে ছেড়ে দিয়েছে। ছাত্রলীগ এখন যা ইচ্ছে তাই করছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তারা হলগুলো নিয়ন্ত্রণ করছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের হাতে ছেড়ে দিয়েছে, সেখানে কোনও ভবন নির্মাণ হলে সেগুলো থেকে তারা চাঁদা দাবি করছে।
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, আওয়ামী লীগ বিরোধীদলে থাকলেই খালি গণতন্ত্রের কথা বলে। বাংলাদেশ থেকে কেউ বড় বিজ্ঞানী হোক, বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিতে যাক, কেউ বড় অর্থনীতিবিদ হোক, পণ্ডিত হোক এটা তো শেখ হাসিনার সরকার চান না।
জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খানের পরিচালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমানসহ কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ মহিলা দলের নেতাকর্মীরা।