বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা ও জাতীয় পার্টির উপদেষ্টা সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধার করা মামলায় জবাব দাখিলের জন্য সময় নিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালতে এদিন আইনজীবী কলিমুল্লাহ মজুমদারের মাধ্যমে তিনি এ সময়ের আবেদন করেন। বিচারক মাসুদুল হক শুনানি শেষে সময় আবেদন মঞ্জুর করেন।
আইনজীবী কলিমুল্লাহ মজুমদার এ সম্পর্কে বলেন, মামলায় বৃহস্পতিবার আমরা বিবাদী জিএম কাদের, জাতীয় পার্টির যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম ও মহাসচিব মজিবুল হক চুন্নুর পক্ষে ওকালতনামা দাখিল করেছি। একই সঙ্গে জবাব দাখিলের জন্য সময় চেয়েছিলাম। আদালত মঞ্জুর করেছেন। আশা করছি আগামী ধার্য তারিখের আগেই জবাব দাখিল করে দেবো।
গত ৩১ অক্টোবর ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালত জিএম কাদেরের ওপর জাতীয় পার্টির দলীয় যাবতীয় কার্যক্রম থেকে নিষেধাজ্ঞার অস্থায়ী আদেশ জারি করেন।
গত ৪ অক্টোবর জাপা থেকে বহিষ্কৃত নেতা দলটির সাবেক এমপি জিয়াউল হক মৃধা ও মশিউর রহমান রাঙ্গা গত ৩ অক্টোবর জিএম কাদেরসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে পৃথক ২টি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার আলোকে আদালত সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
আদালত আদেশে জিএম কাদেরকে ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বরের গঠনতন্ত্রের আলোকে পার্টির কোনো সিদ্ধান্ত যাতে গ্রহণ করতে না পারে এবং কোনো কার্যক্রম চালাতে না পারে সেই মর্মে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেওয়া হলো বলে উল্লেখ করেছেন।
মামলায় বলা হয়, জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। এরপর বিবাদী জিএম কাদের হাইকোর্ট বিভাগের একটি রিট মামলা বিচারাধীন থাকার পরও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ওই বছল ২৮ ডিসেম্বর কাউন্সিল করে নিজেকে চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করেন। এরপর গত ৫ মার্চ গাজীপুর মহানগর কমিটির উপদেষ্টা আতাউর রহমান সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক সবুর শিকদার, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক রফিকুল ইসলাম ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. মো. আজিজকে বহিঃস্কার করেন। এছাড়া গত ১৪ সেপ্টেম্বর বাদী মশিউর রহমান রাঙ্গাকে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য পদ থেকে বহিস্কার করেন।
অন্যদিকে গত ১৭ সেপ্টেম্বর অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধাকেও জাতীয় পার্টি থেকে বহিস্কার করেন। যা অবৈধ। তাই ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বরের কাউন্সিলসহ চলতি বছর ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বহিঃস্কার আদেশ অবৈধ ঘোষণা করতে এবং হাইকোর্ট বিভাগের রিট ১৫০৫১/২০১৯ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় পার্টির পরবর্তী কাউন্সিল স্থগিত রাখতে মামলায় আদেশ চাওয়া হয়েছে।