রাজনীতি

আ.লীগ কখনও পালায়নি, পালানোর ইতিহাস বিএনপির: কা‌দের

আওয়ামী লীগের পালানোর ইতিহাস নেই জানিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রয়োজনে জেলে যাবো, পালিযে যাবো না। পালানোর ইতিহাস বিএনপির নেতাদের।

শুক্রবার (৪ নভেম্বর) রাজধানীতে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আওযামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপ কমিটির চতুর্থ শিল্প বিপ্লব নিয়ে আন্তর্জাতিক সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, পালাবার অভ্যাস তো বিএনপির। আমাদের কেউ পালিয়ে যায়নি। আওয়ামী লীগ ছয় দফা আন্দোলন, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা মোকাবিলা করেছে। বঙ্গবন্ধু বলেছেন, এই দেশেতে জন্ম আমার এই দেশেতে মরবো, আমাদের জন্ম এই দেশে আমরা এই দেশেই মরবো।

‘জেলে যাবো, পালাবার পথ খুঁজবো না। এই দেশ থেকে পালাবো না। মুচলেকা দিয়ে আর রাজনীতি করবে না বলে দেশ থেকে লন্ডনে পালিয়ে গেছে আপনাদের নেতা আপনাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। পালানোর ইতিহাস তো আপনাদের। আমরা যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করবো। বঙ্গবন্ধুর সৈনিকেরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের এজেন্ডা নিয়ে কর্মসূচি নিয়ে এগিয়ে যাবো।’

প্রতিহিংসার রাজনীতি বিএনপির প্রতিষ্ঠা থেকেই শুরু হয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী কী প্রতিহিংসার রাজনীতি করবে? প্রতিহিংসা তো তাদের, যারা একাত্তরের প্রতিশোধ নিতে পঁচাত্তর ঘটিয়েছে, পনেরই আগস্ট ঘটিয়েছিল যারা, তারাই প্রতিহিংসা পরায়ন।

‘৩ নভেম্বর কাল গেলো, জেলের মধ্যে তাদের হত্যা করা হয়েছে, প্রতিহিংসা পরায়ন তো তারা। শেখ হাসিনাকে প্রাইম টার্গেট করে যারা ২১ আগস্ট ঘটিয়েছিল তাদের চেয়ে প্রতিহিংসা পরায়ন বাংলাদেশে আর কে? আজকে সত্য বলতেই হবে।’

আওয়ামী লীগ সরকার বিএনপির আন্দোলনে বাধা দেবে না জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী আন্দোলনের বিরুদ্ধে বলেননি। তিনি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বলেছেন, বিরোধীদল আন্দোলন করছে, করুক বাধা দেবে না। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বাধা দেওয়া হচ্ছে না এবং হবে না। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা আমরা মেনে আন্দোলন করতে দিচ্ছি।

‘এখন এখানে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন আন্দোলনের নামে বাড়াবাড়ি করছেন, আপনাদের নেত্রীকে তো আপনারা জেল থেকে মুক্ত করেননি। খালেদা জিয়ার নামে কে মামলা করেছে? তত্ত্বাবধায়ক সরকার কার লোক? বেগম জিয়ার লোক। তারা মামলা দিয়েছে। আসলে তারা লাফায় কেন সেটাও ত বুঝি না। দুই প্রধান নেতাই দণ্ডিত আসামি। একজন মুচলেকা দিয়ে জীবনেও রাজনীতি করবে না, মুচলেকা দিয়ে কাপুরুষের মতো দেশ ছেড়ে পালিয়েছে।’

বাস মালিকরা আগুন সন্ত্রাসের ভয়ে বাস বন্ধ করলে আওয়ামী লীগ সরকারের কি করার আছে বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, বাস মালিকরা বাস বন্ধ করে দিয়েছে, সেখানে আমাদের কি করার আছে? ২০১৩/১৪ সালে বিএনপি সারা দেশে যে আগুন সন্ত্রাস করেছে সেজন্য বাস মালিকরা বাস বন্ধ রেখেছে এখানে আমাদের কি করার আছে। আমরা তো আন্দোলনে বাধা দিচ্ছি না।

উৎপাদন বাড়ানোর বিপ্লব ঘটানোর আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশের এখন যে অবস্থা আমাদের এখন পথের মানুষের কথা ভাবতে হবে, বিপ্লব আমরা করবো, কিন্তু এখন মানুষ বাঁচাতে হবে। সংকট থেকে পরিত্রাণ করতে হবে। সংকট উত্তরণই এখন প্রধান কাজ। মানুষ কষ্টে আছে, এত কোন সন্দেহ নেই। সাধারণ মানুষ, মধ্যবিত্ত কষ্টে আছে। সারা দুনিয়ায় সাধারণ মানুষ কষ্টে আছে শুধু বাংলাদেশে নয়।

‘এই সংকট থেকে পরিত্রাণের জন্য আজকে আমাদের নেত্রী দিনরাত পরিশ্রম করছেন। এই বাস্তবতায় আমাদের কথা কম কাজ বেশি করতে হবে। উৎপাদন অরও বাড়াতে হবে এটাই বিপ্লব,এখন উৎপাদন বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। মাছ ভাতটা থাকলেই তো হলো। সেটা আমাদের সার্ভাইবালেরর জন্য সবচেয়ে বড় প্রয়োজন। এই বিপ্লবটাই এখন করতে হবে। সেটা সবারই দায়িত্ব আছে, সবাই দায়িত্ব পালন করবেন।”

আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উপ-কমিটির চেয়ারম্যান হোসেন মনসুরের সভাপতিত্বে, আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আবদুস সবুর, তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বক্তব্য রাখেন।