রাজনীতি

গাইবান্ধা ৫ আসনে উপনির্বাচন ৪ জানুয়ারি

ভোটকেন্দ্রে নানা অনিয়ম ও জালিয়াতির অভিযোগে বন্ধ ঘোষিত গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচনে পুনরায় ভোটগ্রহণের তারিখ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী ৪ জানুয়ারি হবে এ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ইসি সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আগামী ৪ জানুয়ারি গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। এ আসনের ভোট হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। সব কেন্দ্র থাকবে সিসিটিভির আওতায়। প্রার্থীরা মঙ্গলবার (৬ নভেম্বর) থেকেই প্রচারণা শুরু করতে পারবেন।

এর আগে সোমবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা জানান, জানুয়ারির ১৫ তারিখের মধ্যেই গাইবান্ধার উপনির্বাচন হবে। আগের নির্বাচনের দোষী কেউ নতুন নির্বাচনের দায়িত্বে থাকবেন না। ওই এলাকা থেকে সম্ভব না হলে প্রয়োজনে পার্শ্ববর্তী জেলা-উপজেলা, তাও সম্ভব না হলে দেশের যেকোনো স্থান থেকেই প্রিসাইডিং অফিসার আনা হবে।

তিনি আরও বলেন, ভালো নির্বাচনের জন্য নির্বাচনের সংস্কৃতির পরিবর্তন করতে হবে।

উপনির্বাচনের ভোটে অনিয়মের অভিযোগে ১৩৩ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তদন্তে ১২৫ জন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও পাঁচটি কেন্দ্রের পাঁচজন এসআই’র বিরুদ্ধে দায়িত্ব পালনে অবহেলার প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে গত ৩০ নভেম্বর নির্বাচন ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল জানিয়েছিলেন। এজন্য আইন অনুযায়ী, ইসি সচিবকে ওই ১২৫ কর্মকর্তার নামের তালিকা তাদের স্ব স্ব নিয়ন্ত্রণকারী ও নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাতে বলা হয়েছে।

গত ১২ অক্টোবর গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে ভোট গ্রহণের মাঝপথে নির্বাচন বন্ধ করে দেয় ইসি। ভোট চলাকালে সিসিটিভি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণ করে ৫১টি ভোটকেন্দ্রে ব্যাপক অনিয়ম দেখতে পেয়ে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে অনিয়মের ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি ৫১টি ভোটকেন্দ্রের ঘটনা তদন্ত করে গত ২৭ অক্টোবর ইসিকে প্রতিবেদন দেয়। পরে গাইবান্ধা-৫ আসনের বাকি ৯৪টি ভোটকেন্দ্রে অনিয়ম ছিল কি-না, তা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেয় ইসি। ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় কমিটি ওই প্রতিবেদন জমা দেয়।