রাজধানীর নয়াপল্টন এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের মামলায় দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
মির্জা ফখরুলের স্ত্রী রাহাত আরা বেগম ও তার মেয়ে মির্জা সাফারুহ সুমি আদালতে আসেন। মির্জা আব্বাসের স্ত্রী ও জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসও আসেন আদালতে।
পরে আফরোজা আব্বাস সাংবাদিকদের বলেন, ‘আগামীকালের সমাবেশকে নস্যাৎ করার জন্যই সরকার তথাকথিত মামলা দিয়ে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসকে কারাগারে আটকে রেখেছে। তবে, আমাদের কেউ থামাতে পারবে না।’
তিনি বলেন, ‘রাতে কয়েকজন সাদা পোশাকধারী পুলিশ বাসায় যায়। তারা মির্জা আব্বাসকে বলে, তাদের সাথে যেতে হবে। আমি তখন ঘুমাচ্ছিলাম। মির্জা আব্বাস অনেক রাত পর্যন্ত অনলাইনে মিটিং করছিলেন। ব্যস্ত ছিলেন তিনি। আমি ঘুম থেকে উঠে আসলাম। পুলিশ আমাকে বলে, তাকে নিয়া যাব। কথাবার্তা বলে আবার দিয়ে যাব। আমি বলি, কথাই যদি বলেন, তাহলে এখানেই বলেন। নিয়ে যাবেন কেন? তখন তারা বলে, না তাকে ডিবি অফিসে যেতে হবে, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ আছে। তবে, তাকে আমরা সকালে দিয়ে যাবো। কিন্তু আমরা তো জানি, ওরা কী করতে পারে। আমরা ওদের মুখের কথা বিশ্বাস করি না।’