রাজনীতি

সরকার দেশের মানুষকে দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ করতে চায়: এবি পার্টি

আর্থিক অনটন ও নিত্যপণ্যের উচ্চ মূল্যে কষ্টভোগী রোজাদারদের সম্মানে মাসব্যাপী গণইফতার কর্মসূচি চালু করেছে এবি পার্টি।

শুক্রবার (২৪ মার্চ) প্রথম রমজানে এবি পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয় সংলগ্ন বিজয়-৭১ চত্বরে বিকেল সাড়ে ৫টায় এ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্সি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আবু মূসা মো. আরিফ বিল্লাহ। সভাপতিত্ব করেন এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম।

ড. আরিফ বিল্লাহ বলেন, অত্যন্ত বরকত ও ফজিলতের মাস পবিত্র রমজানের প্রথম দিনে ইফতার বিতরণ উপলক্ষে আমরা এখানে সমবেত হয়েছি। মহিমান্বিত এই মাসে এবি পার্টির উদ্যোগে প্রতিদিন দরিদ্র অসহায় ছিন্নমূল মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ কর্মসূচি অবশ্যই প্রসংশনীয়। দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি যখন বিপর্যস্ত, লাগামহীন দ্রব্যমূল্যে যখন জনগণের নাভিশ্বাস উঠছে, সে সময়ে এবি পার্টির এ ইফতার বিতরণ কর্মসূচি নিঃসন্দেহে ভালো পদক্ষেপ। এবি পার্টির এই চমৎকার উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই এবং মাসব্যাপী এই ইফতার অনুষ্ঠানের সফলতা কামনা করি।

অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, এবি পার্টি বাংলাদেশকে কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। কল্যাণ রাষ্ট্র উপার্জনহীন, অসহায় এবং নিম্ন আয়ের মানুষদের জীবনধারণের জন্য ন্যূনতম ভাতা তাদের অ্যাকাউন্টে পৌঁছে দেবে। টিসিবির লাইনে দাঁড়ানোর মতো অমর্যাদাকর কোনো অবস্থানে নাগরিকদের ঠেলে দেবে না। এই ভাতার জন্য চেয়ারম্যান-মেম্বারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হবে না। রাষ্ট্রের প্রশাসন আপনাদের দরজায় গিয়ে এই সেবা পৌঁছে দেবে। কল্যাণ রাষ্ট্রে সরকার হবে জনগণের সেবক। তারা স্যার, ম্যাডাম কিংবা মহামান্য নয়। আজকে সরকার ও প্রশাসন নিজেদেরকে জনগণের প্রভু মনে করছে, জনগণকে মনে করছে ক্রীতদাস। বর্তমান সরকার দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে, গণতন্ত্র কেড়ে নিয়ে দেশের মানুষকে দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ করতে চায়। এবি পার্টি এই দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙে গণতান্ত্রিক কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গড়ে তুলতে অঙ্গীকারাবদ্ধ।

সভাপতির বক্তব্য শেষে দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে গণইফতার বিতরণ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন এবি পার্টির সহকারী সদস্য সচিব মাওলানা আনোয়ার ফারুক।

ইফতার অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন—এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, ব্যারিস্টার যোবায়ের আহমেদ ভূঁইয়াসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।