রাজনীতি

রমজানে বিএনপির কর্মসূচি

নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্যের পাশাপাশি বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দামের ঊর্ধ্বগতি রোধ, আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ এবং পূর্বঘোষিত ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে রমজান মাসে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেছেন, রমজান মাসের শুরুতে মুরগি, ডিম, মাংস, শসা, চিনি, খেজুর, লেবুসহ প্রায় সব পণ্যের মূল্য বাড়িয়ে মানুষকে কষ্ট দেওয়ার প্রতিবাদে বিএনপির আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। রমজান মাসে আমাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি দেওয়ার কথা ছিল না। কিন্তু, বর্তমানে দেশের যে অবস্থা, তাতে আমরা বাধ্য হয়েছি আন্দোলন চলমান রাখতে। সে কারণে বিভিন্ন কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছি। আমরা আশ করব, এই কর্মসূচিতে দেশের সাধারণ মানুষ অংশ নেবেন।

শুক্রবার (২৪ মার্চ) রাজধানীর একটি ক্লাবে ইফতার মাহফিলে এসব কথা বলেন তিনি। ওলামা-মাশায়েক এবং এতিমদের সম্মানে এ আয়োজন করেছে বিএনপি। ইফতারে আগে বিশেষ মোনাজাত করেন ওলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা নেছারুল হক।

মির্জা ফখরুল ঘোষিত কর্মসূচির মধ্যে আছে—১ এপ্রিল দেশের সব মহানগর ও জেলায় দুপুর ২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি। ৮ এপ্রিল দেশের সব মহানগরের থানা এবং উপজেলা পর্যায়ে ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি। ৯ থেকে ১৩ এপ্রিল সব বিভাগীয় শহরে বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত প্রচারপত্র বিলি ও মানববন্ধন। ৯ এপ্রিল রংপুর ও চট্টগ্রাম বিভাগ, ১০ এপ্রিল রাজশাহী ও সিলেট বিভাগ, ১১ এপ্রিল খুলনা ও কুমিল্লা বিভাগ, ১২ এপ্রিল ঢাকা ও বরিশাল বিভাগ, ১৩ এপ্রিল ময়মনসিংহ ও ফরিদপুর বিভাগে এসব কর্মসূচি পালন করা হবে।

২৮ মার্চ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত সারা দেশের সব মহানগর, জেলা, উপজেলা, থানা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় সভা, দুস্থ, অসহায় ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সহায়তাসহ বিভিন্ন গণসংযোগমূলক কর্মসূচিতে বিএনপির সব পর্যায়ের নেতাকর্মী অংশ নেবেন।

আজ ইফতার মাহফিলে অংশ নেন—বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমানউল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার ও শায়রুল কবির খান প্রমুখ।