রাজনীতি

গণতন্ত্রের স্বার্থে বিএনপির সঙ্গে আলোচনায় রাজি: আমু  

গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে এবং গণতন্ত্র টিকিয়ে রাখার স্বার্থে সংবিধানের ভেতর থেকে সমাধান খুঁজতে বিএনপির সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং কেন্দ্রীয় ১৪ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু।   

মঙ্গলবার (৬ জুন) বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ১৪ দলের সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

আমু বলেন, ‘জাতিসংঘের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি আসুক, বিগত সময়ে যেমন জাতিসংঘ আমাদের দুই দলকে (বিএনপি-আওয়ামী লীগ) সঙ্গে নিয়ে বসে বুঝিয়েছিল, আজকেও প্রয়োজনে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি আসুক। আমরা বিএনপির সঙ্গে মুখোমুখি বসে আলোচনা করে দেখতে চাই সুষ্ঠু নির্বাচন করার বাধা কোথায়? কীভাবে সেটা নিরসন করা যায়।’

‘এটা আলোচনার মধ্য দিয়ে সুরাহা হতে পারে, অন্য কোনও পথে নয়। অন্য কোনও পথে চেষ্টা করে, নির্বাচন বানচাল করে; যারা অসাংবিধানিক অবস্থা সৃষ্টি করতে চায়, অসাংবিধানিক কোনও জিনিস আনতে চায়, তাদের প্রতিহত করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘আজকে কথা বেশি বাড়ানোর কোনও সুযোগ নেই। পরিষ্কার করে বলতে চাই, জাতীয় সংবিধানের ভিত্তিতে দেশ পরিচালিত হচ্ছে। সংবিধানকে সামনে রেখে যে কোনও সমাধান, যে কোনও কিছু করতে আমরা প্রস্তুত।’

‘আপনারা আসুন এগিয়ে আসুন। গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখার স্বার্থে, এই গণতন্ত্র টিকিয়ে রাখার স্বার্থে; আমরা আপনাদের (বিএনপি) সাথে বসতে রাজি আছি। আলোচনার দ্বার খোলা। শেখ হাসিনা বলেছেন, তিনি প্রত্যয় ঘোষণা করেছেন; যে কোনোভাবে একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে আমরা প্রস্তুত।’

বিএনপি অতীতে নির্বাচন বানচাল করতে ব্যর্থ হয়েছে মন্তব্য করে ১৪ দলের এই নেতা বলেন, ‘আবারও তারা নির্বাচনকে সামনে রেখে নানা অজুহাত তুলছে। বিদেশিদের কাছ থেকে অনেক রকম সাহায্য-সহযোগিতা কথা বলছেন। ভিসানীতিকে আশ্রয় করে মানুষের মধ্যে নানারকম বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছেন।’

‘ভিসানীতি কী? বৃক্ষ তোমার নাম কী, ফলে পরিচয়। আজকে এটা বলার প্রয়োজন নেই যখন ফল পড়বে তখন উপলব্ধি করতে পারবেন, এই বৃক্ষের নাম কী? বগল বাজানোর কোনও সুযোগ নেই। ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের ফন্দিফিকির আপনারা অতীতেও করেছেন, আজকেও করার চেষ্টা করছেন।’

একই কর্মসূচিতে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি দুরভিসন্ধিমূলক। এর মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে বিএনপি বা সুশীল সমাজের কাছে ক্ষমতা তুলে দেওয়া যায়। মার্কিন ভিসানীতির কারণে যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়। তবে বিএনপিকে বলব, সাহস থাকলে সেই নির্বাচনে আপনারা আসেন।

সভায় আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।