খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। বর্তমানে তিনি কেবিনে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র থেকে যে তিনজন চিকিৎসক খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশে এসেছিলেন, গত শুক্রবার রাতে তাদের দুজন ফিরে গেছেন। শনিবার চলে গেছেন অন্যজন।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, গত ২৫ অক্টোবর দিবাগত রাতে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা দিতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিন চিকিৎসক বাংলাদেশে আসে। তারা হলেন- যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির স্কুল অব মেডিসিনের লিভার ও কিডনি প্রতিস্থাপন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক হামিদ আহমাদ আবদুর রব, ইন্টারভেনশনাল অনকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ক্রিসটোস স্যাভাস জর্জিয়াডেস ও হেপাটোলজির অধ্যাপক জেমস পিটার হ্যামিলটন। এই তিন চিকিৎসকের নেতৃত্বে ২৬ অক্টোবর খালেদা জিয়ার লিভারের রক্তনালিতে সফল অস্ত্রোপচার হয়।
বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসকদের একটি সূত্র জানিয়েছে, বিদেশি চিকিৎসকদের এই অস্ত্রোপচারের ফলে খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিসজনিত যে জটিলতা ছিল, তার কিছুটা উপশম হবে। তবে তার লিভারের পুরো চিকিৎসা করতে হলে তাকে বিদেশে উন্নত কোনো মাল্টিসেন্টারে নিতে হবে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার জানান, মেডিক্যাল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলছে।
গত ৯ আগস্ট থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট, চোখের সমস্যাসহ নানা রোগে ভুগছেন। তার হার্টে তিনটি ব্লকের মধ্যে একটিতে রিং পরানো হয়।