রাজনীতি

নুরের বিরুদ্ধে ডিএনসিসির অপপ্রচার মিথ্যা, দাবি গণঅধিকার পরিষদের

ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার করেছে দাবি করে এর তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

বুধবার (২১ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানিয়েছে গণ অধিকার পরিষদ।

এর আগে, বুধবার (২১ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ডিএনসিসির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, পছন্দের ঠিকাদার কাজ না পাওয়ায় ডিএনসিসি নগর ভবনের সামনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন নুরুল হক নুর।

তবে দাবিকে পুরোপুরি মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট বলে দাবি করেছে গণঅধিকার পরিষদ। সংগঠনটির দাবি, ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজের বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিজবুত তাহরীরের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ রয়েছে। ২০১৫ সালে এই অভিযোগেই এজাজ গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। সম্প্রতি এই তথ্য আল জাজিরার অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়েরের একটি ফেসবুক পোস্টে উঠে আসে।

এই অভিযোগের ভিত্তিতে ঢাকা মহানগর উত্তর গণ অধিকার পরিষদ, ডিএনসিসি ভবনের সামনে একটি বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে এবং ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে মোহাম্মদ এজাজকে অপসারণ ও গ্রেপ্তারের দাবি জানায়। এই কর্মসূচিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন ও একাত্মতা প্রকাশ করেন।

সংগঠনের পক্ষ থেকে আরো অভিযোগ করা হয়, প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ আড়াল করতে ও জনদৃষ্টি অন্যদিকে ফেরাতে নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর প্রচার চালাচ্ছেন। এমনকি গতকাল মঙ্গলবার বিক্ষোভ কর্মসূচি স্থগিত করার জন্য নিজের মামাসহ কয়েকজন ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিকে পাঠিয়ে আর্থিক প্রস্তাব দিয়ে সমঝোতা করতে চেয়েছেন। এছাড়া বারবার ফোন করে কর্মসূচি বন্ধের অনুরোধও জানান তিনি। তবে সংগঠনটি কোনো প্রকার আপস না করে কর্মসূচি পালন করে।

আরো পড়ুন: পছন্দের ঠিকাদার কাজ না পাওয়ায় বিশৃঙ্খলা করেছেন নূর: ডিএনসিসি

গণঅধিকার পরিষদের দাবি, ডিএনসিসির অভিযোগ মিথ্যা, প্রকৃত ঘটনা তার বিপরীত। মোহাম্মদ এজাজ ডিএনসিসিতে কমিশন ও নিজের পছন্দের লোক ছাড়া কাউকে কোনো কাজ দেন না। অতীতে গাবতলী পশুর হাটসহ নানা বিষয়ে এমন অভিযোগ গণমাধ্যমে উঠে এসেছে। গণ অধিকার পরিষদের এক সদস্য সরকারি টেন্ডারে সর্বোচ্চ দরদাতা হলেও কোনো কমিশন না দেওয়ায় তাকে কাজ থেকে বঞ্চিত করা হয়।

বিষয়টি প্রশাসককে অবহিত করলে তিনি নিজেই নুরুল হক নুরকে পরামর্শ দেন, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীকে বিষয়টি জানাতে। অতঃপর বিষয়টি আলোচনার পর্যায়ে এলে তাতে কোনো প্রতিকার না মেলায় সংগঠনটি বিক্ষোভের পথ বেছে নেয়।

গণঅধিকার পরিষদ স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, অনতিবিলম্বে মোহাম্মদ এজাজকে ডিএনসিসির প্রশাসকের পদ থেকে অপসারণ ও তাকে দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে। একইসঙ্গে ভবিষ্যতেও দুর্নীতি ও জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার বিরুদ্ধে তাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।