রাজনীতি

লাভ লেটার পেয়েছি, আমরা আপনাকে বহিষ্কার করিনি: হাওলাদার

“আমরা আপনার (জিএম কাদের) চিঠি পেয়েছি। আপনার লাভ লেটার পেয়েছি। আমরা আপনাকে বহিষ্কার করিনি। আপনাকে আবারও বলব, আসেন। আপনাকে আমরা সম্মান দেব। কিন্তু দল ভাঙবে, দল ছোট হবে, এই রাজনীতি আমরা করব না। আমরা আপনাকে ফেলে যেতে চাই না। আমরা দলকে শক্তিশালী করব। আবার বৃহৎ ঐক্য গড়ে তুলব।”

সদ্য অব্যাহতি প্রাপ্ত জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান এবি এম রুহুল আমিন হাওলাদার দলীয় চেয়ারম্যানকে উদ্দেশ্য করে মঙ্গলবার (৮ জুলাই) গুলশানে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

দলীয় শৃঙ্খলা ভঙের অভিযোগে একদিন আগে তাকে দল থেকে অব্যাহিত দেন পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের।

হাওলাদার বলেন, “কাদের সাহেব আপনি কেন এই কাজটি করলেন? তার কী হয়েছিল? তার অসুস্থতা আছে না কি, এটা পরীক্ষা করার প্রয়োজন আছে। কারণ, মানুষকে ভালোবেসে আপন করা, সহযোগিতা নেওয়া, সহযোগিতা করা, এটা কঠিন কাজ। আর এখানে ইজি গো-ইন, আপনি আমাদের চিঠি দিলেন। আমরা চিঠি পেয়েছি। একজন সুস্থ রাজনীতিবিদ এই ধরনের কাজ করতে পারে না।”

“আমাদের ঘামে, আমাদের পরিশ্রমে, আমাদের টাকায়, আমাদের সারা দেশের মানুষের কাছে যাওয়া, আমাদের আবেদনে মানুষ সাড়া দিয়েছে। আর আজকে আমাদের দল থেকে অব্যাহতি দিলেন। সারা দেশের মানুষ আজ অবাক। প্রাথমিক সদস্য পর্যন্ত আপনি রাখেননি। আপনি কোন সাল থেকে রাজনীতি করেছেন আমার জিজ্ঞাসা। এটা কী রাজনৈতিক আচরণ?”

‘মেন্টালি সিক, তার সাথে রাজনীতি নয়’ সংবাদ সম্মেলনে দলের সাবেক কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, “আনিস ভাই দলের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান, কী দেখছি, চট চট করে সবাইকে বের করে উনি (জিএম কাদের) একা থাকবেন। একা একটা কোম্পানি করা যায়, বউয়ের সাথে সংসার করা যায়, রাজনীতি করা যায় না। সব চেয়ে দুর্ভাগ্যজনক উনি (জিএম কাদের) আমাদের দলের চেয়ারম্যান। একটা মাথা খারাপ লোক, অসুস্থ লোক, মেন্টালি সিক। তার সাথে রাজনীতি করা যায় না।”

তিনি দুঃখ করে বলেন, “জাতীয় পার্টি ছোট হতে হতে আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে। একদম ধ্বংসের কিনারায়। সেখান থেকে জাতীয় পার্টিকে কীভাবে উদ্ধার করা যায়, কীভাবে জাতীয় পার্টিকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারি, রাজনীতিতে আবার আমাদের অবস্থান ফিরে পেতে পারি, সেজন্য আজ এই সম্মেলন আহ্বান করা হয়েছে।”

এ সময় সদ্য অব্যাহতিপ্রাপ্ত দলের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, সাবেক কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাইদুর রহমান টেপা, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, এটি ইউ তাজ রহমান, সোলায়মান আলম শেঠ, নাসরিন জাহান রতনা, নাজমা আক্তার, জহিরুল ইসলাম জহির, মোস্তফা আল মাহমুদ, মাসরুর মওলা, জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া, মো. আরিফুর রহমান খান, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা সরদার শাহজাহান, ‌মো. হারুন আর রশিদ, ভাইস-চেয়ারম্যান আমানত হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম পাঠান, যুগ্ম মহাসচিব মো. বেলাল হোসেন, ফখরুল আহসান শাহজাদা, দপ্তর সম্পাদক এম এ রাজ্জাক খান, যুগ্ম সম্পাদক শারমিন পারভীন লিজা, ডা. সেলিমা খান, কেন্দ্রীয় নেতা মিজানুর রহমান দুলাল, আব্দুস সাত্তার, জিয়া উর রহমান বিপুল, তাসলিমা আকবর রুনা, আলমগীর হোসেন, আমিনুল ইসলাম সেলিম, এস এম হাশেম, সিরাজুল আরিফিন মাসুম, চিসতী খায়রুল আবরার শিশির, হানিফ হোসেন বাবু, ফয়সাল সালমান, মিজানুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।