বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটি ছাড়া সারা দেশে সব কমিটি স্থগিত করা হয়েছে।
রবিবার (২৭ জুলাই) সাবেক সমন্বয়ক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রিফাত রশিদ সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।
রিফাত রশিদ বলেন, “অর্গানোগ্রামের (সাংগঠনিক কাঠামো) সিদ্ধান্তে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটি ব্যতীত সারা দেশের সব কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করা হলো।”
তিনি বলেন, “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যনারকে ব্যবহার করে নামে বেনামে অনেক ধরনের অপকর্ম করার চেষ্টা করা হয়েছে এবং হচ্ছে। এই সম্পর্কে আমরা যেদিন আত্মপ্রকাশ করেছিলাম সেদিনই সতর্ক করেছিলমা যে, এই ধরনের কোনোকিছু বরদাস্ত করা হবে না।”
যারা অনৈতিক কাজ করবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
এর আগে ২৫ জুন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন কমিটি গঠন করা হয়। ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত এ কমিটিতে রশিদুল ইসলাম (রিফাত রশীদ) সভাপতি ও মো. ইনামুল হাসান সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
এছাড়া সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মুঈনুল ইসলাম ও মুখপাত্র পদে সিনথিয়া জাহীন আয়েশা নির্বাচিত হন।
ওইদিন রাজধানীর বাংলামোটরে রূপায়ণ ট্রেড সেন্টারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রথম কেন্দ্রীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। কাউন্সিলে ভোট গ্রহণ শেষে সন্ধ্যায় ফল ঘোষণা করা হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গত বছরের জুলাই–আগস্টে হওয়া অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিয়েছিল। পরে এই প্ল্যাটফর্ম ও জাতীয় নাগরিক কমিটির যৌথ উদ্যোগে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আত্মপ্রকাশ ঘটে।