বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেছেন, “কসমেটিক পরিবর্তন দিয়ে বাংলাদেশের আঠারো কোটি মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন সম্ভব নয়। প্রকৃত পরিবর্তনের জন্য প্রথমে মানুষের অন্তরের পরিবর্তন দরকার।”
শনিবার (২ আগস্ট) রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন আবদুল মঈন খান।
‘ফিরে দেখা রক্তঝরা জুলাই আগস্ট প্রত্যাশা আর প্রাপ্তি’ শীর্ষক কথকতার আয়োজন করে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি।
আবদুল মঈন খান বলেন, “বলা হচ্ছে সংবিধানের কিছু পরিবর্তন হবে, কিন্তু আমি বলব, পুরো সংবিধান পাল্টে দিলেও যারা সংবিধান তৈরি ও পালন করে, এ দেশের জনগণের অন্তরের পরিবর্তন না হলে কোনো লাভ হবে না। আমরা পরিবর্তন চাই, কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে, পরিবর্তন কেবল পরিবর্তনের জন্য নয়। কোনটা বিভেদ, সেটাও খেয়াল রাখতে হবে।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। চব্বিশের পাঁচ আগস্ট পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক দলগুলোর দুটি ভুল ছিল উল্লেখ করেন তিনি বলেন, “কারা সরকারে যুক্ত হবেন এবং কত দিন মেয়াদের হবে, তা আমরা ঠিক করে দিইনি। যার ফলে এক বছর পরেও আমরা চিন্তায় আছি, আদৌ ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে কি না।”
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য মীর মোফাজ্জল হোসেন, বহ্নিশিখা জামালী, একাত্তর টিভির হেড অব নিউজ শফিক আহমেদ, অনলাইন ভিডিও নিউজ পোর্টাল চেঞ্জ টিভির সম্পাদক আমিরুল মোমেনীন মানিক, বাংলাভিশন টিভির বিশেষ প্রতিনিধি সিকান্দার রিমান প্রমুখ।