রাজনীতি

যেনতেন নির্বাচন করলে, দেশ আরো সংকটে পড়বে: আনিস

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেছেন,“সরকার নির্বাচনের কথা বলছে, কিন্তু দেশে বর্তমানে নির্বাচনের পরিবেশ আছে কিনা সে আলোচনা করছে না। দেশের অর্থনীতি পরিস্থিতি নাজুক।আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি। এ অবস্থায় আগের মত যেনতেন একটা নির্বাচন করলে দেশ আরো গভীর সংকটে পড়তে পারে।”

শনিবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর গুলশানের হাওলাদার টাওয়ারে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জাতীয় পার্টির মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

আনিস ব‌লেন, “সাধারণ মানুষ ভোটকেন্দ্রে গিয়ে স্বাধীনভাবে তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে কিনা তার নিশ্চয়তা নেই। তাই নির্বাচনের আগে লেভেলপ্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে। একইসঙ্গে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল করতে হবে।”

দেশের সুন্দর একটি পরিবেশের জন্য জুলাই আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রজনতা জীবন দিয়েছে মন্তব‌্য ক‌রে তি‌নি ব‌লেন, “কিন্তু তাদের সেই স্বপ্ন পূরণে গত এক বছরে আমরা কতটুকু এগোতে পেরেছি সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোকে ভাবতে হবে। আজকে চারদিকে হতাশা, অরাজকতা। কিছুদিন নিত্যপণ্যের দাম   স্থিতিশীল ছিল, কিন্তু আবার চাল ডাল, মাছ মাংস সবজিসহ সব পণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে। ফলে মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে।”

জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার সভাপতিত্বে সভায় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন,“চারদিকে আজ অস্থিরতা। দেশের মানুষ শান্তি চায়, স্বস্তি চায়। আর সেজন্য অবশ্যই নির্বাচন দরকার। কিন্তু তার আগে দরকার নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ।”

জাতীয় পার্টি সব সময় নির্বাচনমুখী দল উল্লেখ ক‌রে হাওলাদার বলেন, “আমরাও নির্বাচন অংশ নিতে চাই। বর্তমানে দেশে নির্বাচনের সুস্থ পরিবেশ আছে বলে মনে হয় না।”

তি‌নি ব‌লেন, “দেশের মানুষ সেনাবাহিনীর দিকে তাকিয়ে রয়েছে। দেশের স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি সেনাবাহিনীও সচেষ্ট রয়েছে। আমরা সেনাবাহিনীর পাশে রয়েছি। আমরা নিঃস্বার্থভাবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে সহযোগিতা করতে চাই।”

হাওলাদার আরো বলেন, “আমরা নির্বাচনের জন্য মাঠে কাজ শুরু করেছি। এককভাবে নির্বাচন করব নাকি জোটগতভাবে করব, তা সময় নির্ধারণ করবে। তবে জাতীয় পার্টিকে ছাড়া কেউ সরকার গঠন করতে পারবে না সেটা নিশ্চিত ভাবে বলতে পারি।”

বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির  মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. মুজিবুল হক চুন্নু, সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশিদ, কো-চেয়ারম্যান সাহিদুর রহমান টেপা, জহিরুল ইসলাম জহির, মোস্তফা আল মাহমুদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য মাসরুর মওলা, নাজমা আকতার, আরিফুর রহমান খান, সরদার শাহজাহান, ফখরুল ইসলাম শাহজাদা, মো. বেলাল হোসেন, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান শেখ আলমগীর হোসেন, শফিকুল ইসলাম শফিক, শারফুদ্দিন আহমেদ শিপু, ছেরনিয়াবাত সেকান্দার আলী, আনোয়ার হোসেন তোতা, আনোয়ার হাওলাদার, ডা. সেলিমা খান, মো. মিজানুর রহমান দুলাল, যুগ্ম মহাসচিব মাসুক রহমান, এস এম আল জুবায়ের।

আরো বক্তব্য রাখেন মো. রিপোন, মো. ইসহাক, জাহিদ হোসেন, অ্যাডভোকেট ফিরোজ, মেহেবুব হাসান, জহির উদ্দিন লিটন।

উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম, সোহেল রহমান, আব্দুল আউয়াল সেলিম, তাহলিমা আকবর রুনা, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য শাহনাজ পারভীন, জিয়াউর রহমান বিপুল, নাজমিন সুলতানা তুলি, আমিনুল হক সাঈদুল, যুগ্ম সম্পাদক  ইঞ্জিনিয়ার লিয়াকত আলী।