গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের ওপর হামলার দায় নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে পদত্যাগ, জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক মো রাশেদ খাঁন।
তিনি বলেছেন, “হাসিনার দোসর হিসেবে রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনুরা গ্রেপ্তার হলে জিএম কাদের কেন গ্রেপ্তার হয় না? কারা কাদেরকে আশ্রয় প্রশ্রয় দিচ্ছে? এবার কিন্তু জাতীয় পার্টিকে বিরোধীদল বানানোর কোন সুযোগ নেই। আওয়ামীলীগ ফ্যাসিস্ট হিসেবে নিষিদ্ধ হয়েছে, জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলকেও নিষিদ্ধ করতে হবে।”
নুরুল হক নুরসহ নেতাকর্মীদের উপর হামলাসহ তিন দাবিতে বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর পল্টন এলাকায় আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে, দলটির নেতাকর্মীরা দাবি আদায়ে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে পল্টন মোড় অবরোধ করেন। এ সময় তারা জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়। এতে বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে প্রায় ১ ঘণ্টা বিক্ষোভে ব্যস্ততম এই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। সমাবেশ শেষে বিক্ষোভকারীরা সড়ক ছেড়ে গেলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশ থেকে দলটির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, “নুরুল হক নুরসহ নেতাকর্মীদের ওপর হামলার বিচার অবশ্যই হতে হবে। এই হামলা শুধু নুরুল হক নুরের উপর নয়, এটা গণঅভ্যুত্থানের উপর হামলা। সুতরাং নুরুল হক নুরের ওপর হামলার দায় নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে পদত্যাগ করতে হবে। আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির বাংলাদেশের দল নয়। এরা ভারতের দল। আপার মতো জাপাকেও ভারতের পাঠাতে হবে।”
তিনি বলেন, “এই সমাবেশ আমাদের ঐক্য প্রতিষ্ঠার সমাবেশ। আমাদের মধ্যে ঐক্য না থাকলে আওয়ামী লীগ আবারো ফিরে আসবে। আমরা বিভাজিত হওয়ার সুযোগে সেনাবাহিনী ও পুলিশের একটি অংশ এভাবে হামলার সুযোগ পেয়েছে। এর দায় সরকার এড়াতে পারে না। সরকার শুধু সহানুভূতি দেখিয়ে মাফ পাবে না। দোষীদের বিচার করতে হবে। এই ঘটনার বিচার না হলে পুরো বাহিনীকে কলুষিত করা হবে।”
তিনি আরো বলেন, “কিন্তু আমরা বারবার বলছি, আমরা পুরো বাহিনী দুটিকে দোষারোপ করতে চাই না। আজকের এই অবরোধের জন্য আমরা দুঃখপ্রকাশ করছি। ঠাণ্ডা কথা সরকারের কানে ঢোকে না, যে কারণে সড়ক অবরোধ করেছে নেতাকর্মীরা।”
এ সময় ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য’ এর ব্যানারে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর বিকাল ৩টায় শাহবাগ জাদুঘরের সামনে সংহতি সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করেন রাশেদ খান।
গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ আব্দুজ জাহেরের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন দলটির মুখপাত্র ফারুক হাসান, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাসান আল আল মামুন, উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, অ্যাডভোকেট সরকার নুরে এরশাদ সিদ্দিকী, মাহফুজুর রহমান খান, রবিউল হাসান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ঈসমাইল আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জল, মহানগর উত্তরের সভাপতি মিজানুর রহমান, দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক নুরুল করিম শাকিল, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান, ছাত্র অধিকার পরিষদের সিনিয়র সভাপতি নেওয়াজ খান বাপ্পি প্রমুখ।