রাজনীতি

আমরাই লাঙ্গল প্রতীকের একমাত্র বৈধ দাবিদার: ব্যারিস্টার আনিস

লাঙ্গলের বৈধ মা‌লিক খুঁজে পাওয়া যা‌চ্ছে না সিইসির বক্ত‌ব্যের জবা‌বে জাতীয় পা‌র্টির চেয়ারম‌্যান ব‌্যা‌রিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ব‌লে‌ছেন, “দলীয় গঠনতন্ত্র ও ইসির পিআরও অনুযায়ী আমরা যথা সম‌য়ে কাউন্সিল ক‌রে নতুন নেতৃত্ব নির্বা‌চিত ক‌রে‌ছি। অন‌্য যারা দা‌বিদার তা‌দের কেউ কাউন্সিল কর‌তে পা‌রে‌নি। গঠনতন্ত্রও অনুসরণ ক‌রে‌নি। আমরাই লাঙ্গল প্রতীকের একমাত্র বৈধ দাবিদার। নির্বাচিত বৈধ নেতৃত্বকেই লাঙ্গল প্রতীক দিতে হবে।”

বৃহস্প‌তিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রা‌তে এক বিবৃ‌তি‌তে তি‌নি এ দা‌বি ক‌রেন।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন ব‌লে‌ছেন, “জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের দাবিদার একাধিক, মালিক কে তা খুঁজে পাচ্ছি না।”

এ প্রস‌ঙ্গে বিবৃতি আনিস ব‌লেন, “জাতীয় পার্টি এ বক্তব্যকে শ্রদ্ধার সাথে গ্রহণ করছে। তবে একই সাথে আমরা নির্বাচন কমিশন, গণমাধ্যম এবং জনগণের সামনে স্পষ্ট করতে চাই যে, জাতীয় পার্টির গঠনতন্ত্র এবং Representation of the People Order (RPO) অনুযায়ী সর্বশেষ জাতীয় কাউন্সিল যথাযথভাবে সম্পন্ন হয়েছে। উক্ত কাউন্সিলে ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ সর্বসম্মতিক্রমে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এবং এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার মহাসচিব হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। আইন ও গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এই নেতৃত্বই জাতীয় পার্টির একমাত্র বৈধ নেতৃত্ব এবং লাঙ্গল প্রতীকের একমাত্র দাবিদার।”

“আমরা লক্ষ্য করছি, কিছু পক্ষ ভিন্ন ভিন্ন আবেদন জমা দিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। কিন্তু নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের প্রতীক কোনো গোষ্ঠী বা ব্যক্তির আবেদনে নয়, কেবলমাত্র দলীয় গঠনতান্ত্রিক নেতৃত্বের বৈধ আবেদনের ভিত্তিতেই নির্বাচন কমিশন বরাদ্দ দিতে পারে। অতীতেও নির্বাচন কমিশন একই নীতি অনুসরণ করেছে এবং এবারও আইন, সংবিধান ও গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি।”

আনিস ব‌লেন, “জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীক হলো দলের ঐতিহ্য, জনগণের আস্থা এবং গণতান্ত্রিক রাজনীতির প্রতীক। এ প্রতীক কেবল বৈধ নেতৃত্বকেই প্রদান করা উচিত। বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারী আবেদনগুলো সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।”

“জাতীয় পার্টি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে নির্বাচন কমিশন সংবিধান ও আইন মেনে দ্রুত সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে এবং বৈধ নেতৃত্বকে লাঙ্গল প্রতীকের স্বীকৃতি প্রদান করবে। জনগণের আস্থা ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ধারাবাহিকতা রক্ষায় এটিই হবে একমাত্র ন্যায়সঙ্গত পদক্ষেপ।”

এদিকে, জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রতীক লাঙ্গল পেতে নির্বাচন কমিশনে একাধিক আবেদন জমা পড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।

বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, “জাতীয় পার্টির পাঁচটা প্রস্তাব পেয়েছি। আপনারা কয়টি পেয়েছেন জানি না, কোন জাতীয় পার্টির কথা বলছেন বুঝতে পারছি না। লাঙ্গলের দাবিদার তো একাধিক।”