জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি যে ৬৩টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেনি, এর একটা বড় অংশ মিত্র দল ও জোটগুলোর শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের জন্য ছেড়ে দেওয়া হতে পারে বলে দলটির একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
বিএনপির নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের একজন নেতা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মিত্র দলগুলোর বাইরেও জাতীয় নাগরিক পার্টি বা এনসিপি এবং ইসলামপন্থী কিছু দলের সঙ্গে তাদের আসন ভাগাভাগির প্রশ্নে আলোচনা চলছে।
এসব দলের জন্য আসন আসন ছেড়ে দিতে হতে পারে বিএনপিকে।
সোমবার (৩ নভেম্বর) রাতে বিবিসির খবরে বলা হয়, অনেক আসনে বিএনপির স্থানীয় পর্যায়ে বেশ কয়েকজন করে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক এবং এসব এলাকায় দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলও মীমাংসা করা যাচ্ছে না। এসব কারণে ওই আসনগুলো খালি রাখা হয়েছে বলে বিএনপির একাধিক নেতা জানিয়েছেন।
তবে দলটি মিত্র বা অন্য দলগুলোর জন্য শেষপর্যন্ত কতটা আসনের ছাড় দেবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি বলেও বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
বিএনপির মিত্র একটি জোটের একাধিক নেতা বলেন, “তাদের কারো কারো আসনে ছাড় দেওয়ার ব্যাপারে বিএনপি ইঙ্গিত দিয়েছিল। কিন্তু তা চূড়ান্ত হয়নি।”
এখন আসন সমঝোতার আলোচনা হবে বলে তারা আশা করছেন।
যেসব আসনে বিএনপি এখনো প্রার্থী দেয়নি, সেগুলো হলো- নীলফামারী-১, নীলফামারী-৩, লালমনিরহাট-২, ঠাকুরগাঁও-২, দিনাজপুর-৫, বগুড়া-২, নওগাঁ-৫, নাটোর-৩, সিরাজগঞ্জ-১, পাবনা-১, ঝিনাইদহ-১, ঝিনাইদহ-২, ঝিনাইদহ-৪, যশোর-৫, নড়াইল-২, বাগেরহাট-১, বাগেরহাট-২, বাগেরহাট-৩, খুলনা-১, পটুয়াখালী-২, পটুয়াখালী-৩, বরিশাল-৩, ঝালকাঠি-১, পিরোজপুর-১, টাঙ্গাইল-৫, ময়মনসিংহ-১০, কিশোরগঞ্জ-১, কিশোরগঞ্জ-৫, মানিকগঞ্জ-১, মুন্সীগঞ্জ-৩, ঢাকা-৭, ঢাকা-৯, ঢাকা-১০, ঢাকা-১৩, ঢাকা-১৭, ঢাকা-১৮, ঢাকা-২০, গাজীপুর-১, গাজীপুর-৬, নরসিংদী-৩, নারায়ণগঞ্জ-৪, রাজবাড়ী-২, ফরিদপুর-১, মাদারীপুর-২, সুনামগঞ্জ-২, সুনামগঞ্জ-৪, চট্টগ্রাম-৩, চট্টগ্রাম-৬, চট্টগ্রাম-৯, চট্টগ্রাম-১১, চট্টগ্রাম-১৪, চট্টগ্রাম-১৫, কক্সবাজার-২, সিলেট-৪, সিলেট-৫, হবিগঞ্জ-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬, কুমিল্লা-২, কুমিল্লা-৭, লক্ষ্মীপুর-১, লক্ষ্মীপুর-৪।