রাজনীতি

গণমাধ্যমে মতাদর্শভিত্তিক নিয়োগ বন্ধের তাগিদ আখতার হোসেনের 

মতাদর্শভিত্তিক নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ করে গণমাধ্যমের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি ও কলুষতা দূর করার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেছেন, সঠিক মানদণ্ড নির্ধারণ ও পেশাদার সাংবাদিকতা প্রতিষ্ঠা ছাড়া স্বাধীন গণমাধ্যম শক্তিশালী হবে না।

সোমবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র সেলিব্রিটি হল রুমে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার-বিজেসি আয়োজনে ‘মিডিয়া সংস্কার প্রতিবেদনের পর্যালোচনা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

আখতার হোসেন বলেন, “গণমাধ্যম কার্যালয়ের ভেতরে বড় ধরনের রাজনীতি আছে। নিজ মতাদর্শের লোক নিয়োগ করা হয়ে থাকে। আভ্যন্তরীণ এই কলুষতা দূর করতে কাজ করতে হবে। জনগণের পক্ষে কাজ করতে রাজনীতিবিদ এবং গণমাধ্যম একসঙ্গে কাজ করবে।” 

এ সময় তিনি বলেন, “সাংবাদিকতার সবচেয়ে বড় সংকটে আছি সাংবাদিক কারা সেই পরিচয় সুস্পষ্ট নয়। প্রচুর সিটিজেন জার্নালিস্ট হয়েছে। পেশাগত সাংবাদিকদের সঙ্গে যারা নতুন সাংবাদিক হয়েছেন-এই দু'পক্ষের মর্যাদাগত ব্যাপক পার্থক্য তৈরি হয়েছে। কারা সাংবাদিক হবেন সেটার মানদণ্ড থাকা দরকার। বিষয়টি জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্মানী, পারিশ্রমিক, নিরাপত্তাহীনতা সাংবাদিকদের বড় সংকট। সুনির্দিষ্ট বেতন কাঠামো নেই। যা স্বাধীন সাংবাদিকতায় ব্যাঘাত ঘটায়। ”

আখতার হোসেন বলেন, "মুখাপেক্ষী হয়ে থাকায় পক্ষপাতমূলক সংবাদ প্রকাশে মনস্তাত্ত্বিক চাপ থাকে গণমাধ্যম কর্মীর। ফলে বেতন নিশ্চিত করা প্রয়োজন। অথচ এটার জন্য আইনগত কোনো প্রতিকারের জায়গা সাংবাদিকদের নেই।"

এনসিপি'র সদস্য সচিব বলেন, "ফ্যাসিবাদের জন্য সাংবাদিকদের যেমন ভূমিকা আছে, তেমনি ফ্যাসিবাদকে বিতাড়নেও তাদের ভূমিকা আছে। ফ্যাসিবাদী বয়ান তৈরিতে সাংবাদিকরা যেমন নিজেদের যুক্ত করেছিলেন, তেমনি নিপীড়নও সহ্য করেছেন। ফলে এক দৃষ্টিতে দেখলে সমস্যা আছে।”