ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে প্রার্থীদের ওপর হামলায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবিতে ঢাকাসহ সারা দেশে প্রতিবাদ-মিছিল করছে বিএনপি।
একই সঙ্গে ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর সশস্ত্র হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে এই কর্মসূচিতে।
এর আগে চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপির প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর ওপর সন্ত্রাসী হামলা হয়।
বিএনপির কর্মসূচিতে দুটি হামলারই প্রতিবাদ করা হচ্ছে।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুর থেকে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলটির বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে জড়ো হতে শুরু করেছেন। মিছিলগুলোতে অংশ নেওয়া নেতাকর্মীরা হাতে দলীয় ও জাতীয় পতাকা বহন করছেন। তারা হামলার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার, নির্বাচনকালীন নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং সন্ত্রাসমুক্ত ভোটের পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবিতে স্লোগান দিচ্ছেন।
বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে পরিকল্পিতভাবে বিরোধী প্রার্থী ও ভিন্নমতাবলম্বীদের ভয়ভীতি দেখাতে এই ধরনের হামলা চালানো হচ্ছে। শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনাকে তারা নির্বাচনি পরিবেশ নষ্টের অপচেষ্টা হিসেবে আখ্যা দেন।
তাদের দাবি, অবিলম্বে হামলাকারীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে হলে সহিংসতা ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে হবে। তারা প্রশাসনের প্রতি নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান এবং সব প্রার্থী ও ভোটারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি তোলেন।
বিএনপির এই প্রতিবাদ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে নয়াপল্টন ও আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি বাড়ানো হয়েছে।
দলটি জানিয়েছে, হামলার বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে প্রতিবাদ অব্যাহত থাকবে।
শুক্রবার জুম্মার পর গণসংযোগে থাকা ওসমান হাদির ওপর হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। পুলিশ বলছে, এরই মধ্যে হামলায় জড়িত একজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। হামলাকারীদের ধরতে পুরষ্কারও ঘোষণা করেছে পুলিশ।