একটা কিংবা দুইটা নয়, লক্ষ লক্ষ বুলেট দিয়েও আজাদীর লড়াই বন্ধ করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন আমার বাংলাদেশ (এবি পার্টি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ।
তিনি বলেন, “যারা আজাদীর মঞ্চকে চেনে না, এমনকি নামটাও ঠিকভাবে উচ্চারণ করতে পারে না, তারাই আগামী দিনে বাংলাদেশের রাজনীতিতে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়বে। আজাদীর বাংলাদেশই হচ্ছে আগামীর বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ২.০।”
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর শাহবাগে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে ইনকিলাব মঞ্চ আয়োজিত গণসমাবেশ ও গণপ্রতিরোধ কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতি ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। আরো বক্তব্য রাখেন এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।
ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, “একটি রাষ্ট্র বা জাতির জাতি হয়ে ওঠার সংগ্রামের ভিত্তি গড়ে ওঠে তার শত্রুকে চিনে নেওয়ার মধ্য দিয়ে। গত ৫৪ বছর ধরে আমাদের সবচেয়ে ক্ষতিকর শত্রুকে বন্ধু হিসেবে আমাদের সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে। এই সময়ে বারবার আমাদের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, জাতীয় স্বার্থ ও আত্মমর্যাদা পদদলিত হয়েছে।”
“ক্ষমতার রাজনীতিতে সুবিধাবাদী গোষ্ঠী জাতির লড়াই বোঝে না। রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষমতার জন্য ফকির, মিসকিন ও বস্তির ছেলেরা বড় বড় রাজনৈতিক দলের নেতা হয়েছে। তারা হাজার বছরের ইতিহাস, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের মূল্য বুঝতে ব্যর্থ। অথচ তারাই আজ বড় রাজনৈতিক দলের নেতা সেজে পাড়া-মহল্লায় ভোট চাইছে,” বলেন ব্যারিস্টার ফুয়াদ।
তিনি বলেন, “এসব গোষ্ঠী আগামী সংসদকে গণঅভ্যুত্থানের সঙ্গে বেঈমানি করে আবার বাংলাদেশকে দিল্লির কাছে বিক্রি দেওয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এই চেষ্টাই এখনো চলমান।”
তিনি দৃঢ় কণ্ঠে ঘোষণা করেন, “আমাদের বার্তা স্পষ্ট, বাংলাদেশ আর ৫ আগস্টের অতীতে ফিরে যাবে না। বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ আর ফিরে আসতে পারবে না। এ দেশের আগামীর লড়াই, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব দিল্লির কাছে বিক্রি হতে দেওয়া হবে না।”
তিনি বলেন, “শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ইনকিলাব মঞ্চ ও আজাদী আন্দোলনের কর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাবে।”