পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর মতো চব্বিশের পরাজিত শক্তিও দেশকে নেতৃত্বহীন করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
তিনি বলেছেন, “আমরা দেখেছি গত দুই দিনে বাংলাদেশে কী কী ঘটে গেছে। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যেভাবে পরাজিত হওয়ার আভাস পেয়ে এদেশকে মেধাহীন করতে চেয়েছিল; ঠিক একইভাবে চব্বিশের পরাজিত শক্তি, ফ্যাসিস্ট শক্তি পরাজিত হওয়ার পর এ দেশকে নেতৃত্বহীন করার জন্য জুলাই গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্বকে টার্গেট করছে।”
“তারই অংশ হিসেবে ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়েছে। তিনি এখন জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন,” বলেন আসিফ মাহমুদ।
রবিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে রাজধানীর রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
আসিফ মাহমদু বলেন, “আমরা জানতে পেরেছি শুধু ওসমান হাদি নয়, আরো অনেককে হিটলিস্টে রাখা হয়েছে। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই একাত্তরে যেমন হানাদার বাহিনীর এবং তাদের এদেশীয় দোসরদের ষড়যন্ত্র সফল হয়নি; ঠিক একইভাবে এবারেও পরাজিত ফ্যাসিবাদের দোসরদের কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র সফল হবে না। বাংলাদেশ উত্তরোত্তর সফলতার দিকে এগিয়ে যাবে।”
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করে আসিফ মাহমুদ বলেন, “১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পরিকল্পিতভাবে দেশের খ্যাতিমান অধ্যাপক, সাহিত্যিক, কবি ও বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছিল। উদ্দেশ্য ছিল সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করা। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দেশীয় দোসররা সেই ষড়যন্ত্র চালিয়েছিল। সেই নির্মম হত্যাকাণ্ডের স্মরণে আমরা প্রতিবছর গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে এই দিনটি পালন করে আসছি।”
“যেই প্রত্যাশা নিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়েছিল, ৫৪ বছর পরে এসেও আমাদের প্রাপ্তি অনেক কম। আমরা একটা স্বাধীন দেশ পেয়েছি, স্বাধীন ভূখণ্ড পেয়েছি এবং সার্বভৌম রাষ্ট্র পেয়েছি, সেটা প্রতিষ্ঠার লড়াইটা আমাদেরই গত ৫৪ বছরও করে যেতে হয়েছে; যার সর্বশেষ সংযোজন হচ্ছে ২০২৪। যেখানে আরো শত, সহস্র মানুষকে জীবন দিতে হয়েছে স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য।”
১৯৭১ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের ঠিক দুদিন আগে ১৪ ডিসেম্বর ঢাকাসহ সারা দেশে বুদ্ধিবীজী হত্যায় মেতে ওঠে হানাদার বাহিনী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকায় থাকা বুদ্ধিজীবীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের হত্যা করে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী।
আজ ১৪ ডিসেম্বর। দিনটতে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করছে বাংলাদেশ।