বিক্ষুব্ধদের হামলা ও অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত দ্য ডেইলি স্টার ও প্রথম আলোর ভবন পরিদর্শন করছেন গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটের নেতারা।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় প্রথম আলোর ভবন পরিদর্শনে যান তারা। পরে সেখান থেকে দ্য ডেইলি স্টার ভবনে যান তারা।
পরিদর্শন শেষে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, “আমাদের প্রতিষ্ঠান আমাদের রক্ষা করতে হবে। নীতি-আদর্শ আলাদা থাকতে পারে, তাই বলে কোনো প্রতিষ্ঠানে হামলা হতে পারে না। আমরা এ হামলার নিন্দা জানাই। সংস্কার-বিচারের পরে নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে এমন ষড়যন্ত্র। হাদি ভাইয়ের খুনের বিচার নিয়ে এখনো কিছু করেনি। খুনিরা যদি ভারতে পালিয়ে থাকে, তাহলে তাদের নিয়ে আসা হোক। গতকালের ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। সরকারের ভেতর থেকে যদি কেউ জড়িত থাকে, তাদেরও বিচাররে আওতায় আনতে হবে।”
শনিবার হাদির জানাজায় সহিংসতার কোনো শঙ্কা আছে কি না, সাংবাদিকদের এই প্রশ্নে তিনি বলেন, “এমন কিছু হতে দেব না। হাদি প্রতিষ্ঠান গড়ার লড়াইটাই করেছেন। প্রশাসনের ভেতরে ফ্যাসিবাদ রয়ে গেছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নৈতিকভাবে দায়িত্বে থাকতে পারেন না। বিভিন্ন সময়ে বলেছি, এমন ষড়যন্ত্র হচ্ছে। কালকে চাইলেই এটা থাামাতে পারত। কিন্তু তারা চাননি।”
এ সময় এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, “স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা একবারও এখানে দেখতে আসেননি। এটা তার ব্যর্থতা।”
পরিদর্শন শেষে এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, “গতকাল (বৃহ্স্পতিবার) প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের অগ্নিসংযোগের আগে পর্যাপ্ত পাহারাদের ব্যবস্থা ছিল না, সেটা সরকারের ব্যর্থতা। এ হামলার ঘটনায় সহানুভূতি জানানোর ভাষা আমার জানা নেই। দেশবাসীকে আহ্বান জানাই, আমরা মত প্রকাশের স্বাধীনতা বজায় রাখব। এ ঘটনায় আমরা গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট অত্যন্ত ব্যথিত।”
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইউম বলেন, “শেখ হাসিনার আমলেও এমন আগুন দেওয়া হয় নাই। এমন অগ্নিসন্ত্রাস হলে মানুষ বলবে আগেই ভালো ছিল। গতকাল কেউ কেউ আগুনের উল্লাস করেছেন। এটা সরকারের জানার কথা ছিল। তাদের তৎপরতা দেখলাম না। এমন ঘটনা পরিকল্পিতভাবে ঘটতে দেওয়া খুবই অশনিসংকেত। অগ্নিসন্ত্রাসের পক্ষে সরকারের গাফিলতি আছে, জবাব দিতে হবে। এমন হলে আগামী নির্বাচন কীভাবে হবে।”
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মারা যাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে উচ্ছৃঙ্খল জনতা। ফায়ার সার্ভিস এসে ভবন দুইটির আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।