শরিফ ওসমান হাদি হত্যার বিষয়ে সরকার কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জানাতে হবে, অন্যথায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর পদত্যাগ দাবি করেছেন ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাজধানীর সংসদ ভবন এলাকায় ওসমান হাদির জানাজার আগে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এই দাবি করেন।
আব্দুল্লাহ আল জাবের বলেন, “আমরা কি এখানে কান্নার জন্য এসেছি? আমরা এখানে কীসের জন্য এসেছি? আমার ভাইয়ের রক্তের বদলা নেওয়ার জন্য আজ আমরা এই জানাজায় দাঁড়িয়েছি। ওসমান হাদিকে এক সপ্তাহ ১৬৮ ঘণ্টা আগে গুলি করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কি তার খুনিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে? সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কি খুনিকে গ্রেপ্তারের ব্যাপারে আপনাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে? তারা কি এখন পর্যন্ত আমাদের জানিয়েছে যে খুনি কোন জায়গায় রয়েছে? আমরা স্পষ্ট মনে করছি যে এখানে খুনি একজন নয়, এখানে পুরো একটা চক্র কাজ করেছে।”
তিনি বলেন, “আমরা ইনকিলাব মঞ্চ এবং তার পরিবারের পক্ষ থেকে আপনাদের জানিয়ে দিতে চাই-খুনি, খুনের পরিকল্পনাকারী, সহায়তাকারী এবং পুরো চক্রকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং সহকারী উপদেষ্টা (প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী) খোদা বখস চৌধুরী জনতার সম্মুখে এসে এই খুনের ব্যাপারে গত এক সপ্তাহে তারা কী পদক্ষেপ নিয়েছেন তা জনসম্মুখে জানাতে হবে। যদি তারা জানাতে না পারেন তবে তাদের পদত্যাগের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। আমরা ইনকিলাব মঞ্চ কোনোভাবেই ওসমান হাদির রক্ত বৃথা যেতে দেব না।”
ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব বলেন, “আমরা ঘোষণা করতে চাই, শরিফ ওসমান হাদির রক্তের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে ইনসাফ কায়েম হবে। তিনি বারবার বলেছেন যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং ইনসাফের লড়াইয়ের জন্য যদি জীবন দিয়ে যেতে হয় তবে আমরা জীবন দেব, তবুও ইনসাফের লড়াই ছাড়ব না। সুতরাং, আমাদের ইনসাফের লড়াইয়ে লড়তেই হবে।”
তিনি আরো বলেন, “আমরা তার পরিবারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রকে জানাতে চাই, যদি এই রাষ্ট্রকে রক্ষা করতে তার পরিবারের আরো পাঁচ সদস্য-ভাই ও বোনদের রক্ত লাগে, তবে তারা তা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। তবুও এই খুনিদের চিহ্নিত করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।”
আব্দুল্লাহ আল জাবের বলেন, “হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব থাকবে এবং ইনসাফ কায়েম হবে, নয়তো আমরা সবাই বাংলাদেশের জন্য রক্ত দিতে প্রস্তুত রয়েছি। ইনকিলাব মঞ্চ ব্যতীত অন্য কারও প্রোপাগান্ডায় আপনারা কোনো ধরনের সহিংসতার পথ বেছে নেবেন না। ইনকিলাব মঞ্চের পক্ষ থেকে আমরা জানাবো কখন কী ব্যবস্থা নিতে হবে।”