রাজনীতি

তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন ৫৫ বছরের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় মুহূর্ত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে বাংলাদেশের বিগত ৫৫ বছরের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।

বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিভিআইপি গেটে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “তারেক রহমানকে একনজর দেখার জন্য আমরা সবাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। বাংলাদেশের ৫৫ বছরের ইতিহাসে এমন একটি মুহূর্ত আসতে যাচ্ছে, যা শুধু দেশবাসী নয়—সারা বিশ্ব প্রত্যক্ষ করবে। ইনশাল্লাহ, আমরা এই সময়টিকে ভবিষ্যতের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত হিসেবে স্মরণীয় করে রাখতে পারব।”

তিনি বলেন, “ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে বিএনপি ও গণতান্ত্রিক শক্তিগুলো দীর্ঘ ১৬ থেকে ১৭ বছর ধরে নিরবচ্ছিন্ন আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে গেছে। সেই আন্দোলনের চূড়ান্ত পরিণতি ঘটেছে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে। স্বৈরাচারের পতন হয়েছে, ফ্যাসিস্ট শক্তি পালিয়েছে। আজ গণতন্ত্র মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিচ্ছে।”

মগবাজারে বোমা হামলার প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির এই নেতা বলেন, “পতিত ফ্যাসিবাদী শক্তি ও তাদের দোসররা এখনো দেশে-বিদেশে সক্রিয় রয়েছে। তারা গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টা চালাতে পারে এবং নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রেও লিপ্ত হতে পারে। এসব অপচেষ্টা তাদের জন্য দুঃস্বপ্নই হয়ে থাকবে।”

তিনি আরো বলেন, “যারা সন্ত্রাসী কায়দায় ও অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা থামাতে চাইবে, তাদের বিরুদ্ধে সব গণতান্ত্রিক শক্তিকে সঙ্গে নিয়ে সম্মিলিতভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।” 

গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণে দেশবাসীর সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। জনগণের শক্তিতেই গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত হবে।”