হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়ের (৩০০ ফিট সড়ক) গণসংবর্ধনা এলাকায় পৌঁছেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) আড়াইটার দিকে সংবর্ধনা এলাকায় পৌঁছান তিনি।
এর আগে তাদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে সিলেটে এসে পৌঁছায় সকাল ৯টা ৫৬ মিনিটে। সেখানে যাত্রাবিরতি শেষে ফ্লাইটটি বেলা ১১টা ৩৯ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।
এ ছাড়াও ফুলের মালা দিয়ে জুবাইদা রহমানের মা অর্থাৎ তারেক রহমানের শ্বাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু তারেক রহমানকে বরণ করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমান এবং দেশে থাকা পরিবারের অন্য সদস্যরা।
বিমানবন্দর থেকেই প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে কথা বলেন তারেক রহমান। বিশেষ নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান তিনি।
ভিআইপি লাউঞ্জে আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে তারেক রহমান খালি পায়ে দেশের মাটি স্পর্শ করেন। নিজের জন্য রাখা বিশেষ বুলেট প্রুফ গাড়ি থাকলেও সেখানে না উঠে ‘সবার আগে বাংলাদেশ’ স্লোগান লেখা বাসে করে সংবর্ধনাস্থলের দিকে রওনা হন। বাস ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা দেওয়া হয়। সেনা, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাড়ি সামনে-পেছনে অবস্থান নেয়। তাকে বহনকারী লাল-সবুজ বাস ঘিরে রেখে হেঁটে হেঁটে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা বিমানবন্দর থেকে সংবর্ধনাস্থলে আসেন।
সংবর্ধনাস্থলে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষে তারেক রহমান তার মা, রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে যাবেন।
উল্লেখ্য, গণসংবর্ধনা ঘিরে রাত থেকেই বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী জড় হতে থাকেন। এ সময় তারা ‘মা-মাটি ডাকছে, তারেক রহমান আসছে’, ‘তারেক রহমান, বীরের বেশে, আসছে ফিরে বাংলাদেশে’, 'তারেক রহমান আসছে, বাংলাদেশ হাসছে'সহ নানা স্লোগান দেন।
গণসংবর্ধনা ঘিরে জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়ে এলাকায় বসানো হয়েছে কয়েকটি ইলেকট্রনিক স্ক্রিন, যেখানে মূল মঞ্চ এবং অনুষ্ঠান দেখতে পারবেন নেতাকর্মীরা। এ ছাড়া, রাস্তার ল্যাম্পপোস্টে লাগানো হয়েছে শতাধিক মাইক।