দীর্ঘ প্রায় দেড় যুগ পর সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) রাজধানীতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়-সংলগ্ন নয়া পল্টনে এসেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তারেক রহমানের আগমনকে কেন্দ্র করে সোমবার সকাল থেকেই নয়া পল্টনে ভিড় করছেন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। ১৭ বছর পর দলের শীর্ষ নেতার উপস্থিতিকে তারা ‘ঐতিহাসিক প্রত্যাবর্তন’ হিসেবে আখ্যায়িত করছেন।
তাদের স্লোগানের মুখরিত হয়ে উঠেছে পুরো এলাকা। অনেকের হাতে শোভা পাচ্ছে ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টার।
বিএনপি নেতারা জানান, ২০০৭ সালের ওয়ান-ইলেভেন পরবর্তী রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে দেশ ছাড়ার পর থেকে নয়া পল্টনে তারেক রহমানের সরাসরি উপস্থিতি আর দেখা যায়নি। দীর্ঘ ১৭ বছর যুক্তরাজ্যে নির্বাসিত জীবন কাটানোর পর তার এই প্রত্যাবর্তন বিএনপির রাজনীতিতে নতুন প্রেরণা ও কৌশলগত গুরুত্ব বহন করছে।
তারা বলেন, ১৭ বছর নির্বাসন শেষে নয়া পল্টনে তারেক রহমানের উপস্থিতি শুধু বিএনপির অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতেই নয়, দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক সমীকরণেও গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। সামনে জাতীয় রাজনীতিতে বিএনপির আন্দোলন, কর্মসূচি ও সাংগঠনিক তৎপরতা নতুন গতি পাবে।
নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় নয়া পল্টন ও আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত উপস্থিতি দেখা যায়। শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি শেষ হওয়ায় প্রশাসনও স্বস্তি প্রকাশ করেছে।
সব মিলিয়ে, ১৭ বছর নির্বাসন শেষে দেড় যুগ পর নয়া পল্টনে তারেক রহমানের উপস্থিতিকে বিএনপির রাজনীতিতে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হিসেবে দেখছেন তারা।