সাধারণ একজন গৃহবধূ থেকে রাজনীতির মঞ্চে পা রেখেছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। গত শতকের আশির দশকে বিএনপি চেয়ারপারসনের দায়িত্ব নিয়ে দেশে গণতন্ত্র ফেরানোর সংগ্রামে নেতৃত্ব দেন তিনি। এরপর তিনবার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ৮০ বছর পেরিয়ে মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর ২০২৫) চিরতরে বিদায় নিলেন খালেদা জিয়া।
১৯৮৭ সালের পয়লা নভেম্বর এরশাদ সরকারবিরোধী আন্দোলনের সময় খালেদা জিয়াকে আটক করে পুলিশ।
এরশাদের পতনের পর খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সংগ্রামী ছাত্র–জনতার ঐতিহাসিক বিজয় মিছিল। ৫ ডিসেম্বর ১৯৯০। ছবি: লুৎফর রহমান বীনু, গণতন্ত্রের সংগ্রাম বই থেকে।
১৯৯১ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনি প্রচারণার সময় এক সমাবেশে খালেদা জিয়ার হাতে উপহার হিসেবে ধানের শীষের একটি ভাষ্কর্য তুলে দেন দলের নেতাকর্মীরা।
বাংলাদেশে ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ের পর প্রয়োজনীয় ত্রাণ সহায়তা নিয়ে আসা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফকে ঢাকা বিমানবন্দরে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। ছবিটি তোলা হয় ৫ মে, ১৯৯১।
১৯৯৫ সালে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানের সাথে বসে আলাপ করছেন সেই সময়ের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।
১৯৯১ সালে নির্বাচনে জয়ের পর রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের জনসভায় ছেলে তারেক রহমানকে নিয়ে খালেদা জিয়া।
১৯৯৯ সালের ২৩ ডিসেম্বর এক ইফতার পার্টিতে তৎকালীন তিন বিরোধীদলীয় নেতা। (বাম থেকে ডানে) খালেদা জিয়া, গোলাম আযম ও হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জননিরাপত্তা আইন পাসের প্রতিবাদে পল্টন ময়দানে বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্যদের অনশন কর্মসূচিতে খালেদা জিয়া। ছবিটি তোলা হয় ২০০০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি।
২০০১ সালে নির্বাচনে জয়ের পর তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন খালেদা জিয়া।
২০০১ সালে সরকার গঠনের পর জাতীয় সংসদে বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।
১৯৯৮ সালের ৭ জুন পার্বত্য অঞ্চলের বিদ্রোহীদের সাথে তৎকালীন সরকারের শান্তি চুক্তির বিরুদ্ধে এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন খালেদা জিয়া।
২০০৩ সালের ২৬ জানুয়ারি, সংসদে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। সঙ্গে অন্যান্য মন্ত্রী ও এমপিরা
৩ সেপ্টেম্বর ২০০৭। আদালতে নেওয়ার পথে হাত নাড়ছেন খালেদা জিয়া। ওইদিন ভোরে ঢাকা সেনানিবাস এলাকায় নিজ বাসভবন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়
২০০৪ সালে ঈদের দিনে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সমাধিতে খালেদা জিয়া।
তথ্যসূত্র: বিবিসি, প্রথম আলো, ইন্টারনেট, বিএনপির মিডিয়া সেল