রাজনীতি

খালেদা দেশে ফিরলে বিএনপির পদক্ষেপ

নিজস্ব প্রতিবেদকঢাকা, ২ আগস্ট : ১৮ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা নিয়ে বিএনপি নেতারা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।

দলের চেয়ারপার্সন ও জোট নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া পবিত্র ওমরাহ পালন শেষে দেশে ফেরার পর তাদের করণীয় নির্ধারণ করবেন এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন বলে জানিয়েছেন একাধিক সিনিয়র নেতা।

দলের স্থায়ী কমিটিতে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে।দলের শীর্ষস্থানীয় দায়িত্বশীল একজন নেতা জানান, সামনে নির্বাচনের যে সময় আছে তাতে এই মামলার নিষ্পত্তি হবে বলে সন্দেহ। এ রায়ের মাধ্যমে জামায়াত নির্বাচন করতে পারবে না, তা বলা যাবে না। কারণ বিষয়টি আপিল বিভাগে এখন বিচারাধীন রয়েছে।

তিনি বলেন, যেসব দল নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত এবং নির্বাচনে অংশ নিয়েছে, সেই দলের নিবন্ধন বাতিল করাকে `ওয়েল কাম` করা যায় না।গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে জামায়াতের নিবন্ধন নিয়ে আদালতের রায়ের পর বিএনপির সিনিয়র নেতারা এ প্রসঙ্গে তাদের প্রতিক্রিয়া জানান। তবে একাধিক নেতা এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে রাজি হননি। স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ জানান, দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবেন। স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার এবং ড.আবদুল মঈন খান জানান, দলের চেয়ারপার্সন বেগম জিয়া দেশে ফেরার পর করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। মির্জা আব্বাস বলেন, সরকার আদালতকে নিপীড়নের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চাচ্ছে।

আওয়ামী লীগ কখনোই ভিন্নমত সহ্য করতে পারে না। অতীতে তারা বেশ কয়েকটি দল নিষিদ্ধ করেছিল। এবার সরাসরি নিজেরা না করে আদালতের আশ্রয় নিল। এটার পরিণতি ভালো হবে না। তারা বিএনপিকেও এইভাবে নিষিদ্ধ করার পাঁয়তারা করতে পারে। তারা বাকশাল কায়েমের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, এর ফলে রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়বে। আর গণতন্ত্রের পথ রুদ্ধ হলে তার ফাঁক-ফোঁকর দিয়ে অনেক ঘটনা ঘটবে।

এ অবস্থায় জামায়াত উগ্রপন্থি হয়ে যেতে পারে।

তিনি বলেন, রাজনীতির সব দায়িত্ব যদি আদালত নেয় তাহলে কিছু বলার থাকে না। আদালতের প্রতি জনগণের শ্রদ্ধা ও আস্থা আছে। এগুলো রক্ষার জন্য আদালতেরও সব দিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত দেয়া উচিত।শামসুজ্জামান দুদু বলেন, রাজনৈতিক বিষয় আদালত থেকে না হয়ে রাজনৈতিকভাবে সিদ্ধান্ত হলে ভালো হয়। বিএনপি এর বিরুদ্ধে। এর ফলে রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়বে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি রেখে সব রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করলেও তার ফল ভালো হয়নি।`আগামীতে কঠোর কর্মসূচি আসতে পারে`বৃহস্পতিবার দুপুরে হাইকোর্টে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল হওয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় দলটির কর্ম পরিষদ সদস্য ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেন, এটা অগণতান্ত্রিক ও সংবিধান পরিপন্থি। আবারো প্রমাণ হলো, এ সরকার গণতন্ত্র ও সংবিধানে বিশ্বাস করে না। পরবর্তী কর্মসূচি সর্ম্পকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রমজান মাসের কথা চিন্তা করে কর্মসূচি দেয়া হবে। তবে আগামীতে কঠোর কর্মসূচি আসতে পারে। রায়ের প্রতিক্রিয়ায় দেশে যেকোন সংঘাত বা অচলাবস্থার জন্য সরকারই দায়ী থাকবে।

   

রাইজিংবিডি/ এমএএস