পজিটিভ বাংলাদেশ

শাকিলের সততা

মহামারির এই দুর্দিনে মানবিক যে কোনো ঘটনা মন ছুঁয়ে যায়। নানাবিধ হতাশার মধ্যে মনে জাগে আশার আলো। বুকে সাহস জন্মে- ‘মানুষ’ এখনও আছে, জেগে আছে মানবিকতা। সমাজে সততা এখনও দুর্লভ নয়!

শেরপুর জেলা সদরের তেরাবাজার শাকিল বেডিং স্টোরে জাজিম, তোষক ও বালিশ বানাতে দেন সঞ্জয় বণিক। একইসঙ্গে তিনি দুটি পুরনো বালিশও ঠিক করতে দেন। একটি বালিশের ভেতরে রাখা ছিল ২৫ হাজার টাকা এবং ৫০ হাজার টাকা সমমূল্যের সোনার গহনা। বালিশে তুলা ভরতে গিয়ে টাকা ও গহনা দেখতে পান দোকান মালিক আসকর আলীর পুত্র শাকিল। সে সঙ্গে সঙ্গে ফোন করে বিষয়টি সঞ্জয় বণিককে জানায় এবং তার হাতে জিনিসগুলো তুলে দেয়।

সততার এমন দৃষ্টান্তে সঞ্জয় বণিক প্রথমে বিস্মিত হন! তিনি যখন ফোন পান নিজের কানকেই যেন বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। কেননা বালিশের ভেতরে রাখা টাকা এবং গহনার কথা তিনি ভুলে গিয়েছিলেন।

সমাজ থেকে এখনো সৎ, ভালো মনের মানুষ হারিয়ে যায়নি। বিষয়টি উল্লেখ করে সঞ্জয় বণিক বলেন, ‘আমি টাকা এবং গহনাগুলো বাসায় অনেক খুঁজেছি। এমন সময় শাকিলের ফোন পাই। ওর জন্য অনেক আশীর্বাদ এবং ভালোবাসা রইল।’

শাকিল বিষয়টি অস্বীকার করতে পারতেন। কিন্তু তা না করে প্রকৃত মালিককে সেগুলো ফিরিয়ে দিয়ে সবার প্রশংসা কুড়াচ্ছেন। শাকিল বলেন, ‘আল্লাহ আমাকে যতটুকু দিয়েছেন তাতেই আমি সন্তুষ্ট। আলহামদুলিল্লাহ।’

শাকিল শেরপুর সরকারি কলেজের ডিগ্রি প্রথম বর্ষের ছাত্র। পড়াশোনার পাশাপাশি সে বাবার সঙ্গে দোকানে কাজ করে। তারা দুই ভাই। শাকিল বড়।  

 

ঢাকা/তারা