পজিটিভ বাংলাদেশ

কাস্টমসে সফল মুখ ডেপুটি কমিশনার সাইদুল আলম

হিলি ল্যান্ড কাস্টমস স্টেশনের ডেপুটি কমিশনার সাইদুল আলম ৩০তম বিসিএসের একজন কর্মকর্তা, যিনি ২০১২ সালে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন। তিনি ২০১৭ সালে ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অর্গানাইজেশন (WCO) কর্তৃক সম্মানসূচক অ্যাওয়ার্ড সার্টিফিকেট অব মেরিট এবং ২০১০ সালে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে অনুষ্ঠিত ৪৩তম এশিয়া প্যাসিফিক একাডেমিক কনসর্টিয়াম ফর পাবলিক হেলথ বিষয়ক কনফারেন্সে বিজ্ঞান বিষয়ক গবেষণা কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘ইয়ং ইনভেস্টিগেটর অ্যাওয়ার্ড’ পান।

চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার নিচিন্তপুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান তিনি। ১৯৭৯ সালের ১৪ এপ্রিল মতলবে তার নানার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম আলহাজ্ব রমিজ উদ্দিন। মায়ের নাম রাশিদা বেগম। বাবা বেঁচে আছেন। মা নেই। তারা তিন ভাই, দুই বোন। ভাইবোন সবাই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়ালেখা করেছেন। তার স্ত্রী ফারহানা রহমান, তিনিও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে  পড়াশোনা করেছেন। বর্তমানে তিনি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং পিএইচডি গবেষণা কাজে নিয়োজিত আছেন। ডেপুটি কমিশনার সাইদুল আলম এক কন্যা সন্তানের জনক।

তার শৈশব কেটেছে গ্রামে। মতলব উত্তরের ধনারচক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে তিনি ৫ম শ্রেণীতে বৃত্তি পেয়ে কৃতিত্বের সঙ্গে নিশ্চিন্তপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। নিশ্চিন্তপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে তিনি ৮ম শ্রেণীতে মেধা বৃত্তি পান এবং ১৯৯৫ সালে এই বিদ্যালয় থেকে স্টার মার্ক নিয়ে এসএসসি এবং চাঁদপুর সরকারি কলেজ থেকে তিনি প্রথম শ্রেণী নিয়ে এইচএসসি পাস করেন। পরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি প্রথম শ্রেণীতে দ্বিতীয় স্থান নিয়ে বিএসসি (সন্মান) ডিগ্রি লাভ করেন এবং প্রথম শ্রেণী নিয়ে এমএসসি ডিগ্রি লাভ করেন। বাংলাদেশ কাস্টমসের এই ডেপুটি কমিশনার মাস্টার্সে (এমএসসি) মাইক্রোবায়োলজির উপর গবেষণা (থিসিস) করেন।

মাইক্রোবায়োলজিসহ অন্যান্য বিষয়ে আমেরিকা, ইংল্যান্ডসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নামকরা বৈজ্ঞানিক গবেষণা জার্নালে তার ১৪টি প্রকাশনা (পাবলিকেশন) রয়েছে।

২০১০ সালে ইন্দোনেশিয়ার বালি শহরে তিনি ৪৩তম এশিয়া পেসিফিক একাডেমিক  কনসর্টিয়াম ফর পাবলিক হেল্থ কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করেন। তিনি সেই কনফারেন্সে বাংলাদেশে প্রাপ্ত এবং বাজারে বিক্রিত কার্বনেটেড কোমল পানিয়গুলোর মধ্যে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি, ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতির মাত্রা এবং তার জন্য জনস্বাস্থ্যের উপর ক্ষতিকর প্রভাব কী?- এর উপর তার নিজের একটি গবেষণা কর্ম উপস্থাপন করেন। 

উপস্থিত জুড়ি বোর্ড তার এই গবেষণা কর্মের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং তাকে সেই কনফারেন্স কর্তৃপক্ষ ‘ইয়াং ইনভেস্টিগেটর অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করেন। এই কনফারেন্সে এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের প্রায় তিনশত তরুণ গবেষক অংশগ্রহণ করেন। কর্তৃপক্ষ তার মধ্যে গবেষণার সংখ্যা, গবেষণার মান ও সায়েন্টিফিক জার্নালে প্রকাশিত পাবলিকেশন্সের উপর বিচার করে ১০ জন গবেষককে এই আওয়ার্ড প্রদান করেন। কনফারেন্সে উপস্থাপিত তার এই গবেষণাটি ইংল্যান্ডের ইলসভেয়ার পাবলিকেশন (ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব ফুড মাইক্রোবায়োলজি) থেকে প্রকাশিত হয়।

২০১২ সালে প্রথম পরীক্ষাতেই সাইদুল আলম ৩০তম বিসিএসের মাধ্যমে সহকারী কমিশনার পদে ক্যাডার সার্ভিসে প্রবেশ করেন।  ২০১২ সালে সহকারী কমিশনার পদে মংলা কাস্টম হাউজে তিনি তার কর্মজীবন শুরু করেন। পরে তিনি কাস্টমস হাউজ আইসিডি, ঢাকা; কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট ঢাকা দক্ষিণ; কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট রাজশাহী; কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট ঢাকা পশ্চিম;  হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে কাজ করেন। কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাটের বিভিন্ন বিভাগে কাজ করার সময় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের বেঁধে দেওয়া লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে তিনি সর্বদা সচেষ্ট ছিলেন এবং সর্বদাই তিনি তার যোগ্য নেতৃত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন।

উল্লেখ্য, ২০১৬ ও ২০১৭ সালে তিনি এক বৈরী পরিবেশের মধ্য দিয়ে কৃতিত্বের সঙ্গে সোনামসজিদ শুল্ক স্টেশনে দায়িত্ব পালন করে আসেন। সোনামসজিদ শুল্ক স্টেশনকে একটা শৃঙ্খলার মধ্যে আনয়ন করেন। হয়রানিবিহীন ব্যবসা বান্ধব পরিবেশ তৈরি করেন, যা আজও ওই স্টেশনের ব্যবসায়ীরা স্মরণ করেন।  কাস্টমসে তার অসাধারণ কৃতিত্বের জন্য ২০১৭ সালের ২৬ জানুয়ারি আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবসে ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অর্গানাইজেশন (WCO)  তাকে ‘সার্টিফিকেট অব মেরিট’ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করেন। যা একজন কাস্টমস কর্মকর্তা চাকরিকালীন সময়ে একবারই পেয়ে থাকেন এবং এই অ্যাওয়ার্ড একজন কাস্টমস কর্মকর্তার জন্য অত্যন্ত গৌরবের। ২০১৭ সালের ৩ জুন তিনি ডেপুটি কমিশনার পদে পদোন্নতি লাভ করেন।

২০২০ সালের এপ্রিল মাসে তিনি কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট রংপুর এ যোগদান করেন। একই বছরে সেপ্টেম্বর মাসে তিনি হিলি ল্যান্ড কাস্টমস স্টেশনে ডেপুটি কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তার যোগদানের পর হিলি স্থল বন্দরের চিত্র পাল্টে যায়। গত অর্থ বছরের রাজস্ব আদায়ের চেয়ে, চলতি অর্থ বছরের রাজস্ব অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। বন্দরের সব অনিয়ম হয়রানির অবসান ঘটেছে। তিনি দ্রুততম সময়ে পণ্য খালাসের উদ্যোগ নিয়েছেন ও নির্দেশনা দিয়েছেন। পণ্য চালান বন্দরে প্রবেশ থেকে শুরু করে খালাস পর্যায় পর্যন্ত নজরদারি বৃদ্ধি করেছেন। ব্যবসায়ীদের জন্য ব্যবসা বান্ধব পরিবেশ তৈরি করে দিয়েছেন তিনি। গত অর্থ বছরে যে পরিমাণ পণ্যবাহী ট্রাক এই বন্দরে প্রবেশ করেছে, বর্তমানেও ওইপরিমাণ পণ্যবাহী ট্রাকই বন্দরে প্রবেশ করছে। কিন্তু  অনিয়ম ও হয়রানি রোধ এবং কঠোর মনিটরিংয়ের জন্য সরকার সঠিক রাজস্ব পাচ্ছেন। ফলে রাজস্ব আদায় ও রাজস্ব প্রবৃদ্ধি বেড়ে গেছে।  এই অর্থবছরের মার্চ মাস পর্যন্ত হিলি স্থল কাস্টমস স্টেশনের রাজস্ব আদায় হয়েছে ২৮১ কোটি ৬২ লাখ টাকা আর রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২১৬ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। এই অর্থবছরের মার্চ মাস পর্যন্ত রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৩০ শতাংশ এবং বিগত অর্থবছরের তুলনায় রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৮৩ শতাংশ। 

করোনার এই দুর্যোগকালীন সময়ে রাজস্ব প্রবৃদ্ধির এই হার অবশ্যই যোগ্য নেতৃত্বের ফলশ্রুতিতে সাফল্যমন্ডিত একটি বিষয়। তবে ডেপুটি কমিশনার সাইদুল আলম শুধু রাজস্ব আদায়ের দিকেই মনোযোগী নন। বন্দরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনের সঙ্গে একটা সামগ্রিক সমন্বয় ও সুসম্পর্ক গড়ে তুলেছেন। 

বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তিনি যে কোনো সমস্যার ব্যাপারে খুব দ্রুত আইনানুগ সমাধান প্রদান করেন ও দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। সেই কারণে দ্রুত পণ্য খালাসের ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা অনেক উপকৃত হচ্ছেন।

আরও জানা যায়, শুধু স্থানীয় অংশীজন নয়, তিনি ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে দু’দেশের কাস্টমস কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, অন্যান্য সরকারি এজেন্সিসহ সবার সঙ্গে একটা আন্তঃদেশীয় সুসম্পর্ক গড়ে তুলেছেন। আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী, মুজিব শতবর্ষসহ বিভিন্ন উপলক্ষে তিনি ভারত কাস্টমস এবং সীমান্তের বিজিবি-বিএসএফ সদস্যদের মধ্যে ফুল ও মিষ্টি বিনিময়ের মাধ্যমে দু’দেশের মধ্যে আন্তরিক সম্পর্ক বৃদ্ধি করছেন।

ডেপুটি কমিশনার সাইদুল আলমের সজাগ দৃষ্টি রয়েছে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি ও সামাজিক বিষয়ের উপর। করোনা মহামারির এই  দ্বিতীয় ঢেউয়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে তিনি বন্দর সংশ্লিষ্ট প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক, ভারত কাস্টমস কর্মকর্তা, ভারতীয় বিএসএফ, হিলি স্থলবন্দরের শ্রমিক, কর্মকর্তা-কর্মচারী,  সীমান্তের বিজিবি সদস্য, বন্দর সংশ্লিষ্ট থানা, ব্যাংক, উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা নির্বাহী অফিস, পৌর মেয়রের অফিস, প্ল্যান্ট কোয়ারেন্টাইন অফিস, ফিস কোয়ারেন্টাইন অফিস, এনএসআই অফিস, শুল্ক গোয়েন্দা অফিস, স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের অফিস, সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন সিকিউরিটি এজেন্সির মধ্যে  প্রায় ১২০০ মাস্ক নিজ উদ্যোগে বিতরণ করেন।

ডেপুটি কমিশনার সাইদুল আলমের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তিনি বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করেন নিজের মধ্যে।  তিনি মনে করেন আমাদের জাতির ইতিহাসে মুক্তিযুদ্ধ হলো সবচেয়ে গৌরবময় অধ্যায়। আর এই মুক্তিকামী বাঙালি জাতিকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করার জন্য ২৭ বার কারাবরণের মাধ্যমে সোনালী যৌবনের ১৪টি বছর ত্যাগ করেছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। 

আরও জানা যায়,  তিনি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের একজন সন্তান। বাবা-চাচার মুখে মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনতে শুনতে তিনি বড় হয়েছেন। তার চাচা ছিলেন মতলব উপজেলার তৎকালীন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার। তাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর প্রতি ভালোবাসা বোধ থেকেই তিনি তার নিজ কার্যালয়ে গড়ে তুলেছেন একটি মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু কর্নার। যেখানে তিনি বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রায় তিন শতাধিক বই সংগ্রহ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর উপর বিভিন্ন আঙ্গিকের ও বেশ কিছু দুর্লভ বই, যা সচরাচর পাওয়া যায় না। 

হিলি একটি প্রত্যন্ত অঞ্চল। এই অঞ্চলে '৭১ সালে অনেক বড় বড় অপারেশন হয়েছে। কিন্তু এখানে মুক্তিযুদ্ধের বইয়ের উপর কোনো সংগ্রহশালা নেই। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা, সুধীজন, ছাত্র-শিক্ষক, ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক সচেতন মহলসহ সর্বোপরি হিলির জনগণ বইগুলো পড়ে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে অনেক কিছু  জানার একটা সুযোগ তিনি তৈরি করেছেন।

কর্মজীবনে কঠিন এই মানুষটি ব্যক্তিগত জীবনে বেশ আবেগী ও উদাস প্রকৃতির। কবিতা লিখতে ও পড়তে পছন্দ করেন তিনি। ভালোবাসেন প্রকৃতি, নদী, বৃক্ষ আর উপভোগ করেন জোৎস্না, বসন্ত ও প্রিয়জনদের সঙ্গে তুমুল আড্ডা। বাউলা মনের এই মানুষটি নিজের মনের আনন্দে গান করেন। ফকির লালন সাঁইজি, শাহ আব্দুল করিম, উকিল মুন্সিসহ বাউল ঘরানার মহাজনদের গান শুনতে ও নিজের কণ্ঠে গাইতে পছন্দ করেন। 

তিনি একাধিক পত্রিকায় বিভিন্ন বাউলকে নিয়ে গবেষণাধর্মী একাধিক কলাম লিখেছেন। ভবিষ্যতে তিনি প্রয়াত অন্য বাউলদের নিয়ে এই কলাম লিখন অব্যাহত রাখবেন বলে জানান। তিনি মনে করেন, আমিত্ববোধ মানুষকে ধ্বংস করে। ছোট্ট এই জীবনে মানুষের উপকারে যেই সময়টুকু কাজে লাগানো যায়, সেটুকুই স্বার্থক সময়।

হিলি কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার সাইদুল আলম রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের একজন কর্মচারী হিসেবে দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। নিয়মের মধ্যে থেকে অনিয়মকে দূর করছি। আমরা একটি দেশ পেয়েছি এবং কাজ করার মাধ্যমে আমাদেরই এই দেশকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। তাই আমি কাজে বিশ্বাসী। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সামনে রেখে বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে একটি মর্যাদাপূর্ণ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করাই আমিসহ আমাদের প্রজন্মের সবার লক্ষ্য।’