পজিটিভ বাংলাদেশ

অসময়ের তরমুজে জিয়ারুল হকের ভাগ্যবদল  

জিয়ারুল হক। নাটোরের সিংড়া উপজেলার সুকাশ নওদাপাড়ার যুবক। অসময়ে তরমুজ চাষে ভাগ্য বদলেছে তার। বাড়ির আঙিনায় মাচা পেতে হলুদ ও ব্ল্যাক বেবি তরমুজ চাষ হয়েছে। এতে বেকার যুবক বেশ লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। ইতোমধ্যে বাজারে এ তরমুজের চাহিদা বেড়েছে। 

হলুদ তরমুজের বাইরের অংশ দেখতে বেশ সুন্দর। আর কাটলে ভেতরে টকটকে লাল। খেতেও বেশ মিষ্টি এবং সুস্বাদু। এই তরমুজ দেখতে প্রতিদিন আশেপাশের মানুষ আসছেন। আগ্রহ ও প্রকাশ করছেন অনেকে। 

সোমবার (২ আগস্ট ) বেলা সাড়ে ১১টায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জিয়ারুল হক বাড়ির সামনে ১২ শতক জায়গায় গড়ে তুলেছেন তরমুজ ক্ষেত। মালচিং পদ্ধতিতে এই তরমুজ চাষ হয়েছে। মাচায় সবুজ পাতার মধ্যে হলুদ ও কালো শত শত তরমুজ ঝুলছে। অনেকেই তরমুজ দেখতে আসছেন। 

তিনি বলেন, গত বছর এই জায়গায় বেগুন চাষাবাদ হয়েছিল। কিন্তু তেমন লাভ হয়নি। এবার কৃষি অফিসের পরামর্শে সেখানে তরমুজ চাষ করছি। ভালো ফলন হয়েছে। প্রথম দফায় বাজারজাত করে চাহিদা অনুযায়ী দাম পেয়েছি।  প্রতি কেজি ৭০/৮০ টাকা দাম উঠেছে। অনেকে এই তরমুজ চাষ করার জন্য আমার সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। 

উপ-সহকারী কৃষি অফিসার রনজু জানান, জিয়ারুল গত ৬ জুন উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বীজ সংগ্রহ করে বপন করে। মাত্র ৫০ দিনেই তরমুজ পাকতে শুরু করেছে। বর্তমানে পুরোপুরি খাওয়ার উপযোগী। উপজেলা কৃষি অফিস সার্বিকভাবে তাকে সহযোগিতা করছে। 

অতিরিক্ত কৃষি অফিসার মোছা. জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, অসময় তরমুজ চাষ এবারই প্রথম উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় সিংড়ার সুকাশে শুরু করা হয়। বাণিজ্যিকভাবে এই তরমুজ চাষে কৃষকদের লাভবান হওয়ার সুযোগ রয়েছে। ৬০ দিনে এই তরমুজ খাওয়ার উপযোগী হয় এবং দেখতেও সুন্দর লাগে। এটা দেখে অন্য কৃষকরাও আগ্রহ প্রকাশ করছেন।  

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা বলেন, অসময়ে তরমুজ চাষ কৃষকের একটি লাভজনক ব্যবসা। উপজেলায় এই প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে এই ফল চাষ করা হয়। এখন অনেকেই এই তরমুজ চাষে পরামর্শ নিতে আসছেন।