পজিটিভ বাংলাদেশ

দেশজুড়ে প্রসিদ্ধ দিনাজপুরের কাটারিভোগ চাল

দেশজুড়ে প্রসিদ্ধ দিনাজপুরের কাটারিভোগ চাল। দেশের সিংহভাগ চাল উৎপাদন হয় এই জেলায়। গেলো আমন মৌসুমে ২ হাজার ৬৪০ হেক্টর জমিতে কাটারিভোগ ধান চাষ হয়েছে এই জেলায়।

জেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, প্রতি বছর বর্ষার আমন মৌসুমে কাটারিভোগ ভাতের চালসহ সুগন্ধি চিনি গুড়া, জিরা, কালো জিরা এবং বেগুন বিচি জাতের উন্নত বিরানির ধানের চাষ হয়ে থাকে। জেলার চাহিদা পূরণ করে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়। এই চালের স্বাদ প্রায় সবাই জানেন, একটা সময় দিনাজপুর জেলাতেই এই সুগন্ধি চাল উৎপাদন হয়ে থাকতো। তবে বর্তমানে দেশের বিভিন্ন জেলায় এই জাতীয় চালের উৎপাদন হচ্ছে।

উত্তরবঙ্গে দুই মৌসুমে বোরো ও আমন ধানের চাষ হয়ে থাকে। তবে কাটারিভোগ জাতের ধান কৃষকেরা আমন মৌসুমে ফলায়। এই জাতের ধান চাষ করতে বাড়তি কোনো উপাদান বা খরচ হয় না। স্বাভাবিক আমন ধানের নিয়মে তা চাষ হয়ে থাকে। তবে আমন ধানের চেয়ে কাটারিভোগ জাতের ধান কম ফলন হয়, বিঘাপ্রতি ৮ থেকে ১০ মণ হয়ে থাকে।

হিলির কৃষক মিজানুর রহমান রাইজিংবিডিকে বলেন, প্রতি বছর আমরা ৬ থেকে ৮ বিঘা জমিতে ধান চাষ করে থাকি। আর বাড়িতে খাওয়ার জন্য আমন মৌসুমে কাটারিভোগসহ বিভিন্ন জাতের বিরানির ধান ১৫ থেকে ২০ শতক আবাদ করি। পরিবারের চাহিদা পূরণ করেও আমন মৌসুমে এই চাল বাজারে বিক্রি করি।

হিলি চাল বাজার ঘুরে দেখা যায়, চাল ব্যবসাযীরা উন্নতমানের ভাতের কাটারিভোগ চাল বিক্রি করছে ৮০ টাকা কেজি দরে। আবার সুগন্ধি চিনিগুড়া, কালোজিরা, জিরা ও বেগুন বিচি জাতের বিরানির চাল বিক্রি হচ্ছ ৮৫ টাকা কেজি দরে।

হিলির চাল ব্যবসাযী স্বপন শাহ বলেন, আমরা কাটারিভোগসহ বিরানি জাতের চালগুলো দিনাজপুর মোকাম থেকে আনি। তবে, বর্তমানে নওগাঁ জেলাতেও এই চাল পাওয়া যায়। ৭৬ থেকে ৭৭ টাকা কেজি দরে কাটারি ভোগ চাল পাইকারি নিয়ে এসে তা ৮০ টাকা দরে বিক্রি করছি, আবার বিরানির চাল ৮০ থেকে ৮১ টাকা দরে কিনে তা বিক্রি করছি ৮৫ টাকা কেজি দরে।

দিনাজপুর কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক প্রদীপ কুমার গুহ বলেন, আমন মৌসুমেই মূলত কৃষকরা কাটারিভোগ জাতের ধান চাষ করে থাকেন। গত আমন মৌসুমে জেলায় ২ হাজার ৬৪০ হেক্টর জমিতে এই জাতের ধান চাষ হয়েছে। তা থেকে প্রায় ৪ হাজার ৭৪৩ মেট্রিকটন চাল উৎপান হয়েছে। চলতি আমন মৌসুমে এখনো এই জাতের ধান কি পরিমাণ চাষ হচ্ছে, তা জরিপ করা হয়নি।