পজিটিভ বাংলাদেশ

অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে বাড়িতে বাড়িতে বিধান দেব

হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জে করোনাভাইরাসে কেউ আক্রান্ত হয়ে শ্বাসকষ্টে ভোগলে অক্সিজেন ব্যবস্থা ছিল না। উপজেলা হলেও এখানে কোনো শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল গড়ে উঠেনি। প্রাইভেট হাসপাতাল থাকলেও অক্সিজেন সংকট ছিল। এ কথা জানতে পারেন হবিগঞ্জ-৩ আসনের এমপি আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির।

তিনি শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার জন্য অক্সিজেন সিলিন্ডার প্রদানের উদ্যোগ নিয়ে সম্প্রতি আলেয়া জাহির ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে পাঁচটি সিলিন্ডার প্রদান করেন। আর এসব রোগীর মুখে অক্সিজেন স্থাপনে বিনাপারিশ্রমিকে এগিয়ে আসেন পল্লী চিকিৎসক বিধান দেব। এখন কেউ শ্বাসকষ্টে ভোগলেই পল্লী চিকিৎসক বিধান দেব অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হচ্ছেন। তার সেবায় উপকৃত হচ্ছেন করোনা রোগীরা।

এ উদ্যোগের প্রশংসা করে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ তালুকদার ইকবাল বলেন, শায়েস্তাগঞ্জ নতুন উপজেলা। এখানে শয্যা হাসপাতাল না থাকায়, এ সময়ে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের শ্বাসকষ্ট হলে বিরাট সমস্যায় পড়তে হচ্ছিল। এ কঠিন সময়ে, এমপি মহোদয় পাঁচটি অক্সিজেন সিলিন্ডার প্রদান করে শায়েস্তাগঞ্জবাসীর রিবাট উপকার করেছেন। সেইসঙ্গে বিনাপারিশ্রমিকে রোগীদের বাড়ি গিয়ে সিলিন্ডার স্থাপন করে দিচ্ছেন পল্লী চিকিৎসক বিধান দেব। এছাড়া অনেক স্বেচ্ছাসেবকও কাজ করছেন।

উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ গাজীউর রহমান ইমরান বলেন, এমপি মহোদয় আমাদের শায়েস্তাগঞ্জের বিরাট উপকার করেছেন অক্সিজেন সিলিন্ডার দিয়ে। সেইসঙ্গে স্বেচ্ছায় রোগী সেবা করছেন পল্লী চিকিৎসক বিধান দেব। আমরা খুশি তাদের বদান্যতায়।

সমাজসেবক ইমদাদুল ইসলাম শীতল বলেন, কারোনাকালে শ্বাসকষ্ট রোগীদের বড় উপকারে এসেছে অক্সিজেন সিলিন্ডারগুলো। এছাড়া বিনামূল্যে অক্সিজেন সেবা দিচ্ছেন পল্লী চিকিৎসক বিধান দেব। তিনি পল্লী চিকিৎসক হলেও অভিজ্ঞতা বিরাট। তার সেবায় রোগীরা উপকৃত।

সাবেক পৌর কাউন্সিলর খায়রুল আলম বলেন, আমরা বর্তমানে কঠিন সময় পার করছি। এ সময়ে আমাদের পাশে আছেন এমপি মহোদয়। বিনামূল্যে রোগী সেবা দিচ্ছেন পল্লী চিকিৎসক বিধান দেব। তাদের ভালোবাসায় আমরা সিক্ত। 

পল্লী চিকিৎসক বিধান দেব বলেন, এ কঠিন সময়ে বেঁচে আছি বলেই শুকরিয়া আদায় করছি। এখানে টাকা রোজগার করে কী লাভ হবে। বিনামূল্যে রোগীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে অক্সিজেন সেবা দিতে পেরে অত্যন্ত ভালো লাগছে। অক্সিজেন শেষ হলে, রিফিল করে নিয়ে আসা হয়।

তিনি বলেন, আমার বিনামূল্যে সেবার চেয়ে এমপি মহোদয়ের প্রদান করা অক্সিজেন সিলিন্ডারগুলো বিরাট উপকারে এসেছে। করোনায় আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। সচেতন থেকে স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে চলাচল করুন।