পজিটিভ বাংলাদেশ

শখের খামারে কোটি টাকা বিনিয়োগ

তরিকুল ইসলাম। চাঁপাইনবাবগঞ্জের একজন ব্যবসায়ী। তিনি টি ইসলাম নামে এলাকায় বেশ পরিচিত। গরু, ছাগল ও মাছ চাষে বর্তমানে তিনি একজন সফল খামারি। তার গরু ও ছাগলের খামার এখন মডেল। 

এক সময় শখের বসে গাভী পালন করলেও সেটিকে বর্তমানে ব্যবসায় রূপান্তরিত করেছেন তরিকুল। ১৬ বছরের মাথায় তিনি সফল হয়েছেন। তার খামার দেখভালের জন্য রয়েছে ১৫ জন কর্মী। চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর নামো-শংকরবাটি এলাকার মীরপাড়ায় চোখে পড়বে মিনার অটো রাইস মিল। সে অটো রাইস মিলের মধ্যেই রয়েছে মিজান ডেইরি অ্যান্ড গট ফার্ম।

বিশাল আকারের খামারে গরু ও ছাগলের জন্য আলাদা আলাদা ব্যবস্থা রয়েছে। খামারে রয়েছে আধুনিক মানের শেড। গরু ছাগলের খাদ্য জোগান দিতে রাইস মিলের পেছনে অবশিষ্ট জমিতে রোপণ করা হয়েছে কয়েক প্রজাতির ঘাস। শ্রমিকরা আধুনিক মানের মেশিনে কাটছেন জমিতে উৎপাদিত ঘাস।

বর্তমানে ওই খামারে উন্নত জাতের গাভীসহ ৬০টি গরু রয়েছে। যার বাজার মূল্য প্রায় কোটি টাকা। বড় হচ্ছে তোতাপুরি, শিহইল, হরিয়ান, রাম ছাগলসহ উন্নত জাতের ছাগল। সেখানে ২৭৫টি উন্নত জাতের ছাগল ও ৪০টি গাড়ল রয়েছে। এসব প্রাণীর বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৬০ লাখ টাকা।

জানা যায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জের মীরপাড়ায় মিনার অটো রাইস মিল সংলগ্ন এলাকায় ২০০৫ সালে প্রথমে গরুর খামার গড়ে তোলেন। এরপর নাচোল উপজেলার লক্ষ্মীপুরে নির্মাণাধীন টি ইসলাম এগ্রো ফুড ইন্ডাস্ট্রিজের পাশেই গড়ে তোলেন আরও একটি পশুর খামার। পাশেই রয়েছে দৃষ্টিনন্দন পুকুর। সেখানে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করছেন তিনি। এছাড়াও আশেপাশে ১৬টি পুকুর রয়েছে তার।

টি ইসলাম বলেন, ‘প্রতিবছরই খামারে গরু-ছাগলের সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। এগুলোর জন্য আলাদাভাবে বিশাল একটি খামার তৈরি করা হয়েছে। ভবিষ্যতে খামারের আয়তন বাড়ানোর পরিকল্পনাও রয়েছে। সব ধরনের উদ্যোক্তার জন্যই ব্যাংকিং সহায়তার প্রয়োজন।’

গরু-ছাগলের খামার ও মাছ চাষের ব্যবস্থাপনায় আছেন তার বড় ছেলে মিজানুর রহমান। তিনি এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ব-বিদ্যালয়ের অনার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী। 

মিজানুর রহমান বলেন, ‘সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে এ খামার গড়ে তুলেছি। ব্যাংকিং সহায়তা পেলে খামারের পরিধি আরও বাড়ানো সম্ভব। কয়েক বছর আগেও ভারত থেকে গরু আমদানির মাধ্যমে কোরবানির গরুর চাহিদা মেটানো হতো। এখন ভারতীয় গরু আমদানি প্রায় বন্ধ। দেশে মাংস ও কোরবানির গরুর চাহিদা থাকায় দেশি গরুর একটি ভালো বাজার তৈরি হয়েছে।’