পজিটিভ বাংলাদেশ

চাঁদপুরে হচ্ছে ‘অর্পণ’ মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র

নানা রকম মাদকে আসক্ত একজন ব্যক্তি দেখতে খারাপ নয়, পাগল নয় কিন্তু অসুস্থ। লোকচক্ষুর অন্তরালে সমাজে এমন কোনো অপকর্ম নেই, তারা না করেন। আর তাদের সেবা-যত্ন করে সুস্থ করতে আত্মপ্রকাশ করছে ‘অর্পণ’ নামের মাদকাসক্তি চিকিৎসা পুনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র। চাঁদপুর পৌরসভার ১৩নং ওয়ার্ডের ওয়াপদা গেইটে শুরুর উদ্যোগ নিয়েছেন কয়েকজন তরুণ উদ্যোক্তা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাইরে বড় সাইনবোর্ডসহ ভেতরে ছোট ছোট বেশ কয়েকটি ব্যানারে লেখা রয়েছে ‘অর্পণ’-এর নাম ও কার্যক্রম। এরসঙ্গে মাদকের কুফল সম্পর্কিত তথ্যও নানা ব্যানারে সাঁটানো রয়েছে। ভেতরে ঢুকতেই বেশ পরিপাটি কক্ষ ও ডেকোরেশন যে কারোর মন ছুঁয়ে যাবে।

এবিষয়ে প্রতিষ্ঠানের পরিচালক মো. মিতাত আহমেদ জুয়েল বলেন, আমি সৌদি প্রবাসী হলেও এখানকার ওয়ারলেস এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা। কিশোর বয়সে আমি একসময় মাদক সেবন করতাম এবং পরবর্তীতে কিছুদিন একটি মাদক নিরাময় কেন্দ্রে চিকিৎসা নিয়ে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠি। তখন চিন্তা করলাম, আমি যেহেতু সুস্থ হতে পেরেছি, তাই সমাজের অন্য মাদকসেবীদেরও এভাবে চিকিৎসার ছায়া তলে এনে সুস্থ করে তুলতে হবে। সেই চিন্তা বাস্তবায়নেই আমি ‘অর্পণ’-নামের এই প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তুলতে চেষ্টা করছি। আমার সাথে মো. সোহেল ও মো. মিন্টু নামে আরও দু’জন এই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক পদে সহযোগী হিসেবে রয়েছেন।

মো. মিতাত আহমেদ জুয়েল এই প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো ও সেবা সম্পর্কে বলেন, আমরা ২০টি বেডে শুধু পুরুষ মাদকসেবীদের এখানে চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা করছি। ভালোমানের একজন সাইকোলজিস্ট, একজন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারসহ সার্বক্ষণিক চিকিৎসা প্রদান করার জন্য একজন ডিউটি ডাক্তার এখানে রাখা হবে। চিকিৎসাসেবা প্রার্থীদের জন্য পাঁচজন নিরাপত্তা কর্মী ও সিসি ক্যামেরার সার্বক্ষণিক ব্যবস্থা থাকবে। প্রাথমিক পর্যায়ে ৩ মাসের প্যাকেজে এখানে চিকিৎসা দেওয়া হবে। সব চূড়ান্ত হলে প্রশাসনিক অনুমোদন পেলেই আমরা রোগী ভর্তি নেওয়া শুরু করবো।

এবিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক এমদাদুল ইসলাম মিঠুন বলেন, অর্পন নামের ওই মাদকাসক্তি চিকিৎসা পুণর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্রকে এখনো অনুমোদন দেওয়া হয়নি। আমরা তাদের আবেদন পেলে পরিদর্শন করে অনুমোদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো।